মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধী থেকে মাদার টেরেসা, অনেককেই নিজস্বীর ‘জালে’ ফেলেছেন এআই শিল্পী। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে সংগৃহীত।
পুরু গোঁফের আড়াল ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে স্মিত হাসি। তাঁকে ঘিরে ভক্তের ঢল। তাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে বাঁ হাতে নিজস্বী তুলছেন মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধী। চেনা চশমায়, স্যুট পরিহিত বিআর অম্বেডকরও প্রায় সে ভাবেই ধরা দিয়েছেন নিজস্বীতে। নিজস্বীর জালে তাঁদের ফেলেছেন শিল্পী জিয়ো জন মালোর। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই) প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এ হেন ‘অ-সম্ভব’ কীর্তি করেছেন তিনি। যা দেখে আপ্লুত সমাজমাধ্যম।শুধু কি গান্ধী বা অম্বেডকর! নিজস্বীর নেশায় মজে নিজেদের ক্যামেরাবন্দি করেছেন মাদার টেরেসা, এলভিস প্রেসলি থেকে অ্যালবার্ট আইনস্টাইন কিংবা বব মার্লির মতো পুরনো দিনের খ্যাতনামীরা। এ সবই মালোরের কারিকুরির ফল। দিন দুয়েক আগে ইনস্টাগ্রামে নিজের শিল্পসৃষ্টির নমুনা তুলে ধরেছেন মালোর। তাতে দেখা গিয়েছে পুরনো দিনের বেশ কিছু খ্যাতনামীকে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জোশেফ স্তালিন, আব্রাহাম লিঙ্কন বা চে গেভারার মতো ব্যক্তিত্ব।
এঁদের নিজস্বীতে কী ভাবে ধরলেন মালোর? ইনস্টাগ্রামের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘‘কম্পিউটারের পুরনো হার্ডড্রাইভে অজস্র নিজস্বীর খনি খুঁজে পেয়েছিলাম। সবই অনেক কাল আগে আমাকে পাঠিয়েছিলেন বন্ধুবান্ধবেরা।’’ এর পরই তাঁর মাথায় খেলে যায়, ওই ছবিগুলির উপর কারিকুরি করে গান্ধী বা এলভিসদের যদি নিজস্বীতে ধরা যায়, তবে কেমন হয়? তা-ই করেছেন মালোর। তিনি জানিয়েছেন, ‘মিডজার্মি’ নামে একটি এআই সফ্টঅয়্যার দিয়ে গান্ধীদের নিজস্বীতে তুলে ধরেছেন। সেই সঙ্গে কিছুটা ফোটোশপের কারসাজিও জুড়ে দিয়েছেন। এই সিরিজ়ের নাম দিয়েছেন, ‘সেল্ফিজ় ফ্রম দ্য পাস্ট’।মালোরের কীর্তিকে বাহবা দিচ্ছেন সমাজমাধ্যমের বহু মানুষজন। তাঁদেরই এক জনের মন্তব্য, ‘‘প্রতি বারের মতো এ বারও অসাধারণ! সবগুলোই দারুণ, তবে আমার ব্যক্তিগত পছন্দের তালিকায় চে, অম্বেডকর এবং বব... দারুণ কাজ!’’ অন্য আর এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘অতুলনীয় কাজ! এলভিস আমার প্রিয়। চে-ও দারুণ!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy