প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীকে ছেড়ে শাশুড়িকে নিয়ে পালালেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে ইংল্যান্ডের গ্লস্টারশায়ারে। মেল অনলাইন-এ প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, সন্তানসম্ভবা হওয়ায় বছর চব্বিশের জেস অলড্রিজের স্বামী রায়ান শেল্টন এবং সন্তানকে নিয়ে মায়ের কাছে চলে এসেছিলেন। বেশ ভালই কাটছিল তাঁদের। জেসের মা বছর চুয়াল্লিশের জর্জিনা মেয়ে-জামাইয়ের যথেষ্ট খেয়াল রাখতেন।
জেসের দাবি, সময় যত এগিয়েছে তাঁর তুলনায় স্বামী রায়ানের বেশি খেয়াল রাখতে শুরু করেন তাঁর মা। শুধু তাই নয়, তাঁদের দু’জনের মধ্যে সম্পর্কের রসায়ন বেশ জমজমাট থাকত। যা মোটেই ভাল চোখে দেখতেন না জেস। ক্রমে জেসের অজান্তে তাঁর মায়ের সঙ্গে রায়ানের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
জেসের আরও দাবি, যত দিন গিয়েছে তাঁর মায়ের আচার আচরণে অদ্ভুত একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন। কিন্তু তলে তলে মা আর তাঁর স্বামীর মধ্যে সম্পর্কে জড়িয়েছেন সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি জেস। এ দিকে জেসের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় হয়ে আসছিল। জেস জানান, তিনি সন্তান জন্ম দেওয়ার পরই মোবাইলে একটা বার্তা পান রায়ানের কাছ থেকে। তাতে তিনি জেসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের কথা বলেন। কেন হঠাৎ করে এমন বার্তা তা বুঝে উঠতে পারেননি জেস।
বিষয়টা পরিষ্কার হয় বাড়িতে ফেরার পরই। হাসপাতাল থেকে সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে দেখেন রায়ান এবং জর্জিনা কেউই সেখানে নেই। কোথাও গিয়েছেন এই ভেবে তিনি অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও ওই দু’জনের কেউই আর ফিরে আসেননি। তখন তাঁর সন্দেহ বাড়তে শুরু করে। যেটা সন্দেহ করেছিলেন ঠিক সেটাই ঘটেছিল। প্রথমে মাকে ফোন করেন জেস। তখন তিনি নিজেই বিষয়টি পরিষ্কার করে ব্যক্ত করেন মেয়ের কাছে। জানান, প্রাক্তন জামাইয়ের সঙ্গে তিনি সংসার শুরু করেছেন এবং ভালই আছেন। নতুন বাড়িতে উঠেছেন এবং সেখানেই দু’জনে থাকবেন। রায়ানও একই কথা জানিয়ে দেন জেসকে। নিজের স্বামী এবং মায়ের এই কীর্তিতে ভেঙে পড়েন জেস। তিনি বলেন, “অবিশ্বাস্য! ভয়ানক অভিজ্ঞতা। দু’জনে যে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসবে ভাবতেও লজ্জা লাগছে।” দুই সন্তানকে এখন কী ভাবে প্রতিপালন করবেন তা নিয়ে তিনি ভেবে অস্থির বলেই জানিয়েছেন জেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy