Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Fishing Addiction

মাছে মগ্ন স্বামী, বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে স্ত্রী! মৎস্যশিকারি যুবক ভুলে গেলেন শুনানিও

দিনরাত মাছ ধরেন স্বামী, সংসারে তাঁর মন নেই। অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন মহিলা। বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু সেই শুনানির দিনও মাছ ধরতে ব্যস্ত ছিলেন অভিযুক্ত।

দিনরাত মাছেই মজে থাকেন স্বামী।

দিনরাত মাছেই মজে থাকেন স্বামী। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
বেজিং শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:১৭
Share: Save:

সংসারে সময় দেন না, দিনরাত মাছেই মজে থাকেন স্বামী। অভিযোগ, যত দিন যাচ্ছিল, তাঁর সঙ্গে ঘর করা অসম্ভব হয়ে উঠছিল। যে কারণে ১০ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন স্ত্রী। সটান হাজির হলেন আদালতে।

বিচারককে মহিলা জানান, তাঁর স্বামী মাছ ধরতে ভীষণ ভালবাসেন। দিনরাত মাছ ধরেই সময় কাটিয়ে দেন। সংসারের দিকে তাঁর বিন্দুমাত্র নজর নেই। ১০ বছরের দাম্পত্যে সংসারে তিনি কোনও সময়ই দেননি বলে অভিযোগ করেছেন স্ত্রী। তাই অবশেষে বিবাহবিচ্ছেদের আর্জি জানিয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

মহিলার আর্জি অনুযায়ী, মামলার শুনানির জন্য একটি দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, শুনানির সেই তারিখও ভুলে গিয়েছিলেন যুবক। সে দিনও যথারীতি তিনি মাছ ধরতে ব্যস্ত ছিলেন। তাঁর কীর্তি বিস্মিত করেছে বিচারককেও।

ঘটনাটি পূর্ব চিনের। অভিযুক্ত যুবকের নাম সান। তাঁর স্ত্রী ঝ্যাং জানিয়েছেন, ১০ বছর ধরে তিনি একাই সংসার টানছেন। রান্নাবান্না থেকে শুরু করে বাচ্চাদের পড়াশোনা, সব দিক তাঁকেই সামলাতে হয়। তাঁর স্বামী কেবল মাছ ধরে বেড়ান। এ ছাড়া, অবসর সময় কাটিয়ে দেন শুয়ে, বসে, মোবাইল ঘেঁটে। বিরক্ত হয়ে তাই তিনি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

স্বামীকে তিনি বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানালে তিনিও রাজি হয়ে যান বলে জানিয়েছেন ঝ্যাং। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, স্বামীকে তিনি শুনানির তারিখ জানিয়েছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে দেখা যায়, আদালতে সানের দেখা নেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি তখনও মাছ ধরে বেড়াচ্ছেন। ডাকাডাকির পর অবশ্য আদালতে হাজির হয়েছেন অভিযুক্ত।

আদালতে সান জানিয়েছেন, স্ত্রীর অভিযোগের পাহাড় শুনতে শুনতে তিনিও ক্লান্ত। তাই বিচ্ছেদে তাঁর আপত্তি নেই। দম্পতির মধ্যেকার দূরত্ব মেটানোর চেষ্টা করা হয়েছিল আদালতের তরফে। সানকে বিচারক পরিবারের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি তা করতে অস্বীকার করেন।

সব চেষ্টা ব্যর্থ হলে দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদে সম্মতি দিয়েছে আদালত। এ প্রসঙ্গে বিচারকের পর্যবেক্ষণ, মাছ ধরা খারাপ কিছু নয়। কিন্তু সব কিছুর একটা সীমা থাকে। বিয়ে করলে স্বামী বা স্ত্রী হিসাবে সংসারের দায়িত্ব নিতেই হবে। মাছ ধরা পরিবারের ঊর্ধ্বে নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fishing Addiction China News Reasons behind divorce
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE