প্যারিসের পর কি এ বার জঙ্গিদের প্রথম টার্গেট- কাবুল?
একেবারে প্যারিসের কায়দাতেই কি জঙ্গিরা ঝাঁপিয়ে পড়বে কাবুলে? বা, আফগানিস্তানের অন্য কোনও জায়গায়? ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে?
সেই হানাদারি কি প্যারিসের হামলার চেয়েও বড় ঘটনা হবে?
কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের কাছে গোপন গোয়েন্দা রিপোর্ট সে রকমই। দূতাবাসের ওয়েবসাইটে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, বড়সড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটতে পারে কাবুলে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। আফগানিস্তানের অন্য কয়েকটি জায়গাতেও হানা দিতে পারে জঙ্গিরা। গোপন গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে এ ব্যাপারে আফগান সরকারকেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছে কাবুলের মার্কিন দূতাবাস।
সোমবার দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এ কথা জানিয়ে রাজধানী কাবুল তো বটেই, গোটা আফগানিস্তানে থাকা মার্কিন নাগরিকদের সব রকম ভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে কাবুলের মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এ কথাও জানানো হয়েছে, জঙ্গিরা কখন, কোথায়, হানাদারি কী ভাবে চালাবে, তা পুরোপুরি জানা যায়নি। হানাদারির লক্ষ্য কোন কোন এলাকা, সেটাও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি।
এর আগে কাবুলে বা আফগানিস্তানের অন্যত্র যে সব জায়গায় তালিবানরা হানাদারি চালিয়েছে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের লক্ষ্য ছিল হয় আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী, না হলে বিদেশিরা। আফগানিস্তানে এখন তালিবানদের চেয়েও বেশি রমরমা ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের। কাবুলে আইএসের সংগঠন খুব দ্রুতই বেড়ে উঠছে। তা ছড়িয়ে পড়ছে আফগানিস্তানের প্রায় সর্বত্রই।
প্যারিসে হামলার পরপরই মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সে দেশের নাগরিকদের আগামী দু’বছরের মধ্যে আফগানিস্তানে ঘুরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল।
কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘জঙ্গিরা এ বার কাবুলে মার্কিন দূতাবাস বা আফগানিস্তানে থাকা মার্কিন নাগরিকদেরই বেছে বেছে নিশানা করেছে কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে আমরা ধরেই রাখছি, যে কোনও সময়ে ওই ধরনের হুমকি ই-মেল বা মোবাইলে মেসেজ আসতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy