Advertisement
১৬ জুন ২০২৪
International News

মৃত সন্তানের দেহ ফ্রিজেই রেখে দিয়েছেন মা!

মনিকার দাবি, হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের চাপে পড়েই ওই মৃত সন্তানকে বাড়ি নিয়ে যেতে বাধ্য হন তিনি। তবে সদ্যোজাতের মৃত্যুর শংসাপত্র না থাকায় তার অন্ত্যেষ্টি করতে পারেননি মনিকা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
লিমা (পেরু) শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৯:১২
Share: Save:

মৃত্যুর শংসাপত্র জোটেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, শংসাপত্র না পাওয়া পর্যন্ত দেহ রেখে দিতে হবে। তাই বাড়ির ফ্রিজেই সদ্যোজাতর দেহ রাখতে বাধ্য হলেন পেরুর এক মহিলা। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই অবশ্য নিজেদের গাফিলতির কথা স্বীকার করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মনিকা পালোমিনো নামে ওই মহিলা জানিয়েছেন, গত শনিবার পেরুর রাজধানী লিমা-র এক হাসপাতালে তিনি একটি পুত্রসন্তান প্রসব করেন। কিন্তু, ২৫ সপ্তাহে জন্ম নেওয়া ওই অপরিণত শিশুটি বেশি দিন বাঁচেনি। সোমবার সে মারা যায়। মনিকার দাবি, হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের চাপে পড়েই ওই মৃত সন্তানকে বাড়ি নিয়ে যেতে বাধ্য হন তিনি। তবে সদ্যোজাতের মৃত্যুর শংসাপত্র না থাকায় তার অন্ত্যেষ্টি করতে পারেননি মনিকা। স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলে তিনি বলেন, “আমাকে ছাড়ার সময় হাসপাতাল সন্তানের দেহও দিয়ে দেয়। ডেথ সার্টিফিকেট সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্য একটুও সময় দেননি ওঁরা। তাই বাড়ির ফ্রিজের ভিতরেই এখন রয়েছে তার দেহ।”

নিজের সন্তানকে এখন কবর দিতে চান মনিকা। তবে ডেথ সার্টিফিকেট না জুটলে তা সম্ভব নয়। হাসপাতালের চরম গাফিলতির এক উদাহরণ দিয়ে তাঁর অভিযোগ, “আমার সন্তানকে ডায়াপারে জড়িয়ে রাখা হয়েছিল।” তাঁর আরও দাবি, “সন্তানকে নিয়ে না গেলে গায়নোকোলজি বিভাগের দায়িত্বে থাকা মহিলাটি আমাকে হাসপাতাল ছেড়ে যেতে দিচ্ছিলেন না।”

আরও পড়ুন

‘লভ জিহাদ’ বিদ্বেষ! মালদহের যুবককে কুপিয়ে, পুড়িয়ে খুন রাজস্থানে

কাল নমাজের পরেই ফুঁসে উঠুক প্যালেস্তাইন, আহ্বান হামাসের

জিতলেও গুজরাতে আসন কমছে বিজেপির, ইঙ্গিত সব সমীক্ষার

এই ঘটনায় অভিযোগের তির যাঁদের দিকে সেই হাসপাতালের ডিরেক্টর হুলিও সিলভা নিজেদের দায় স্বীকার করেছেন। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা সংশ্লিষ্ট নিয়ম পালন করেননি বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া, তিনি গোটা ঘটনার তদন্ত করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। এ বিষয়ে তাঁর মন্তব্য, “আমি পুরোপুরি ভাবে নিজের দোষ স্বীকার করছি। তবে ওই মহিলার উচিত ছিল, ডেথ সার্টিফিকেট না মেলা পর্যন্ত মর্গে গিয়ে অপেক্ষা করা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE