শনিবার সকালে প্রথমে সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে যান মোদী।
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোটগ্রহণের আগেই বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সফরের দ্বিতীয় দিনে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। শনিবার সকালে প্রথমে সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে যান মোদী। ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদ ঠাকুরের আশ্রমেও যাওয়ার কথা তাঁর। ঢাকাতে ফিরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও বৈঠক করার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর।
যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন মোদী। তারপরে তিনি জানান, বাংলাদেশের মানুষের জন্য যশোরেশ্বরী মন্দিরের পাশে একটি কমিউনিটি হল ও একটি সাইক্লোন আশ্রয়স্থল তৈরি করার জন্য অর্থ সাহায্য করবে ভারত সরকার। একই সঙ্গে বলেন, বিশ্ব যাতে করোনা-মুক্ত হয়, সে জন্য প্রার্থনা করেছেন তিনি।
মন্দির দর্শনের পরে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি স্থলে যাওয়ার কথা মোদীর। মুজিবের আদি বাড়িও সেখানেই। সেই বাড়িও ঘুরে দেখবেন তিনি। মুজিবুরের মেয়ে হাসিনাও থাকবেন সেখানে।
মুজিবের সমাধি স্থলের পরে গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে মতুয়া তীর্থেও যাওয়ার কথা তাঁর। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে প্রচুর সংখ্যায় মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৩৫টি কেন্দ্রে মতুয়া ভোট খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে মোদীর মতুয়া তীর্থে যাওয়া বিশেষ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।
দুপুরের মধ্যে ঢাকা ফিরে হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করার কথা মোদীর। গত বছরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি মউ স্বাক্ষর হয়েছিল। শনিবারও বেশ কয়েকটি মউ স্বাক্ষর হওয়ার কথা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষ উদ্যাপন হচ্ছে এ বছর। সেই উপলক্ষ্যেই দু’দিনের সফরে বাংলাদেশে গিয়েছেন মোদী। অবশ্য নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর ‘রাজনৈতিক স্বার্থে’, এমনটাই অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy