Advertisement
১৯ মে ২০২৪
nasa

মঙ্গলে হেলিকপ্টারের উড়ান স্থগিত নাসার

পৃথিবীতে শিশুরাও এখন ড্রোন, খেলনা বিমান বা হেলিকপ্টার ওড়ায় অনায়াসে। মঙ্গলে হেলিকপ্টার ওড়াতে কেন বেগ পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা?

মঙ্গলে প্রথম হেলিকপ্টার ইনজেনুইটি। ছবি: নাসার সৌজন্যে।

মঙ্গলে প্রথম হেলিকপ্টার ইনজেনুইটি। ছবি: নাসার সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২১ ০৫:১১
Share: Save:

রাইট ভাইদের স্মৃতিকে সঙ্গী করে আজ প্রথম বার মঙ্গলগ্রহে হেলিকপ্টার ওড়ানোর কথা ছিল নাসার। কিন্তু শুক্রবার সেটির পরীক্ষার সময় ডানায় সমস্যা দেখতে পেয়ে, সেই পরিকল্পনা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রাখতে হয়েছে। এখন তথ্য ঘেঁটে সমস্যার উৎস ও সমাধান খুঁজছে আমেিরকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। শনিবার এক বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, পরীক্ষার সময় ইনজেনুইটি নামের হেলিকপ্টারটির ক্ষতি হয়নি।

সাধারণ চোখে দেখলে ভিন্ গ্রহে কপ্টার ওড়ানোর কাজটি আহামরি কিছু নয় বলে মনে হতে পারে। কিন্তু প্রথম বার কাজটি করা প্রায় ততটাই কঠিন, যতটা কঠিন ছিল বিশ্বের প্রথম এরোপ্লেনটি ওড়ানো। ১৯০৩ সালে নর্থ ক্যারোলাইনার কিটি হক-এ যা করে দেখিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন রাইট ভ্রাতৃদ্বয়। সেই সফল প্রয়াসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নাসা মঙ্গলে পাঠানো প্রথম কপ্টারে রেখে দিয়েছে রাইট ভাইদের তৈরি প্রথম বিমানের খানিকটা সুতো। যাতে মঙ্গলে প্রথম উড়ানের সঙ্গে জুড়ে থাকে পৃথিবীর প্রথম উড়ানের স্মৃতি ও ইতিহাসও।

পৃথিবীতে শিশুরাও এখন ড্রোন, খেলনা বিমান বা হেলিকপ্টার ওড়ায় অনায়াসে। মঙ্গলে হেলিকপ্টার ওড়াতে কেন বেগ পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা? মঙ্গলগ্রহে মাটির টান চাঁদের থেকে বেশি, তবে পৃথিবীর থেকে অনেক কম। তাই পৃথিবী থেকে ১.৮ কিলোগ্রাম ওজনের যে কপ্টারটি পার্সিভিয়ারেন্স রোভারের পেটে করে পাঠানো হয়েছে, লালগ্রহের মাটিতে তার ভার ৬৭৫ গ্রাম। এত হাল্কা একটি কপ্টার ওড়াতেও এত কেন বেগ পেতে হচ্ছে! উত্তর লুকিয়ে লালগ্রহের বাতাসে। সেখানে বাতাসের চাপ পৃথিবীর বাতাসের চাপের এক শতাংশেরও কম। এত কম ঘন বাতাসে ওইটুকু হেলিকপ্টারকে ওড়াতে হলেও তার ডানাকে পৃথিবীর যে কোনও কপ্টারের তুলনায় অনেক বেশি জোরে ঘোরাতে হবে। ইনজেনুইটির ডানা অত জোরে ঘোরানোর সময়েই সমস্যা দেখা দেওয়ায়, থামিয়ে দিতে হয়েছে পরীক্ষা।

নাসার প্রাথমিক পরিকল্পনাটি এই রকম: ছোট্ট কপ্টারটি প্রথমে ঘুরন্ত ডানায় ভর করে ১৬ ফুট উঁচুতে উঠবে। তার পরে সামনের দিকে এগোবে এবং যেটি তাকে নিয়ে এসেছে, সেই পার্সিভিয়ারেন্স রোভারের ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠাবে। প্রথম উড়ানটি হবে ৩০ সেকেন্ডের। সফল হলে মাসখানেকের মধ্যে অন্তত পাঁচ বার ওড়ানো হবে কপ্টারটি। প্রতিটি উড়ানে আগের বারের চেয়ে কঠিন কসরত করতে হবে ইনজেনুইটিকে। আপাতত এক দিনে সূর্যের আলোয় ব্যাটারি ফের পুরো চার্জড হয়ে গেলে ইনজেনুইটির একটি ক্যামেরা মঙ্গল-দিগন্তের একটি সাদা-কালো ছবি পাঠাবে পার্সিভিয়ারেন্স রোভার মারফত। পরে অন্য ক্যামেরায় তোলা রঙিন ছবিও পাঠাবে এটি। ১৪ তারিখের পর স্পষ্ট হবে, রাইট ভাইদের স্বপ্ন মঙ্গলেও ডানা মেলে কি না!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

nasa mars
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE