রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফাইল ছবি
কখনও নরম, কখনও গরম। গত কাল কাজাখস্তানে একটি সম্মেলনের শেষে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, তাঁরা ইউক্রেনে নতুন করে হামলার প্রয়োজন দেখছেন না। সংরক্ষিত বাহিনীর অতিরিক্ত সেনা পাঠানোরও আর কোনও পরিকল্পনা নেই। তাঁরা ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী। তবে একই সঙ্গে পুতিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই আলোচনায় তিনি কোনও ভাবেই আমেরিকাকে ঢুকতে দিতে রাজি নন। পরে সেই প্রসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ফের জানালেন, নেটোর সঙ্গে রাশিয়ার বাহিনীর যদি কোনও ভাবে সরাসরি সংঘর্ষ বাধে, তা হলে তার পরিণতি ভয়ানক হবে, গোটা বিশ্বে ‘বিপর্যয়’ নামবে।
কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় সাংবাদিক বৈঠকে পুতিন বলেন, ‘‘কোনও ভাবে নেটো ও রুশ বাহিনী, এই দু’পক্ষ যদি মুখোমুখি হয়, সরাসরি সংঘর্ষ বাধে, তা হলে তার পরিণতি হবে ভয়ানক। গোটা বিশ্বে বিপর্যয় নেমে আসবে। যাঁরা যুদ্ধের কথা বলছেন, আশা করি তাঁদের যথেষ্ট বুদ্ধি আছে, তাঁরা এ রকম কোনও পদক্ষেপ করবেন না।’’
কিছু দিন আগেও ইউক্রেনের চার অঞ্চলে গণভোট করানোর পরে পুতিন হুমকি দিয়েছিলেন, রুশ জমির প্রতিরক্ষার প্রয়োজনে তিনি পরমাণু হামলা চালাবেন। পুতিনের এ হেন মন্তব্যের জন্য এ সপ্তাহে রাষ্ট্রপুঞ্জ তাঁর নিন্দা করেছে। যদিও গত কাল পুরোপুরি উল্টো সুরে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে নতুন করে হামলার কোনও প্রয়োজন তিনি দেখছেন না।
ইউক্রেন ইতিমধ্যেই ধ্বংসস্তূপের উপরে দাঁড়িয়ে। আশ্রয়হীন হাজারো মানুষ। খাদ্যাভাব, দারিদ্র তো রয়েইছে। সেই সঙ্গে বিদ্যুতের অভাব দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের তরফে আজ বাসিন্দাদের যতটা সম্ভব বিদ্যুৎ বাঁচাতে অনুরোধ করা হয়েছে। সৌদি আরব জানিয়েছে, তারা ৪০ কোটি ডলার সাহায্য পাঠাবে ইউক্রেনকে। সৌদির সরকারি সংবাদ সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কিকে ফোন করবেন বলে স্থির করেছেন। তারা আরও জানিয়েছে, দু’দেশের মধ্যস্থতা করতেও রাজি যুবরাজ। যুদ্ধ থামাতে প্রয়োজনীয় যে কোনও পদক্ষেপকে তিনি সমর্থন জানাতে চান। এ দিকে, স্পেসএক্সের স্রষ্টা ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, তিনি আর বিনামূল্যে স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট পরিষেবা দিতে রাজি নন ইউক্রেনকে। আমেরিকার সরকারকে বিষয়টি দেখতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy