আর কয়েক বছরের মধ্যেই ডাউন সিনড্রোমের মতো গুরুতর জেনেটিক ডিসঅর্ডার নিয়ে আর কোনও শিশুর জন্ম হবে না আইসল্যান্ডে। বিশেষজ্ঞদের আশা, খুব দ্রুত সেই পথেই এগোচ্ছে আইসল্যান্ড।
সমীক্ষা বলছে সারা বছরে আইসল্যান্ডে যত শিশুর জন্ম হয়, তার মধ্যে মাত্র এক অথবা দু’টি শিশু ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়। এর প্রধান কারণ অবশ্যই প্রি-নেটাল চেকআপ নিয়ে হবু বাবা-মায়েদের সচেতনতা।
আরও পড়ুন: ছিলেন একা মা, এখন অনেকের মা
২০০০ সালের প্রথম দিকে প্রি-নেটাল টেস্টের ধারণা আসে। ডাউন সিনড্রোম এমন একটি জেনেটিক সমস্যা যা প্রি-নেটাল টেস্টগুলির মাধ্যমে চিহ্নিত করা সম্ভব। আইসল্যান্ডের আইন অনুযায়ী ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাত করানো বৈধ। যদি পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভস্থ ভ্রূণের অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়, তা হলে গর্ভপাত করানো সে দেশে অতি পরিচিত ঘটনা। আর নাগরিকদের এই ‘অভ্যাসেই’ সাফল্যের মুখ দেখতে চলেছে আইসল্যান্ড। সম্পূর্ণ ভাবে ডাউন সিনড্রোম মুক্ত দেশের তকমা লাভ করার দিকেই ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার নাগরিকের হিমশীতল এই ভূখণ্ড।
• এটি একটি জিনগত ত্রুটি।
• এ ক্ষেত্রে ২১ নম্বর ক্রোমোজোমটিতে একটি অতিরিক্ত ‘কপি’ থাকে। এই অবস্থাকে ট্রাইজোমি বলা হয়।
আরও পড়ুন: গাঁটছড়া বাঁধবেন ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ২ বন্ধু
ল্যান্ডস্পিতালি ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের প্রি-নেটাল ডায়াগনোসিস বিভাগের প্রধান হুলদা জারতারদোত্তির সিবিএস-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এখনও আইসল্যান্ডে ১-২জন শিশু ডাউন সিনড্রোমের মতো জিনগত সমস্যা নিয়ে জন্মায়। সেটা পুরোটাই স্ক্রিনিং টেস্টের ব্যর্থতা। অনেক সময় ডাউন সিনড্রোমের ঝুঁকি খুব কম থাকলে তা টেস্টে ধরা পড়ে না। ফলে ডাউন সিনড্রোমের সমস্যা নিয়েই ওই শিশুদের জন্ম হয়।
• এই জিনগত ত্রুটির কারণে শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
• এদের আইকিউ লেভেল সাধারণ শিশুদের তুলনায় কম থকে।
• অনেক সময় এর উল্টোটাও দেখা যায়। অনেক সময় ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুরা জিনিয়াস হয়।
সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, ১৯৯৫-২০১১ সালের মধ্যে আমেরিকায় ৬৭ শতাংশ ডাউন সিনড্রোম কমেছে, ফ্রান্সে কমেছে ৭৭ শতাংশ, ডেনমার্কে প্রায় ৯৮ শতাংশ। আর খুব শীঘ্রই ডাউন সিনড্রোম শূন্য রাষ্ট্রের শিরোপা পাওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে আইসল্যান্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy