জইশ-প্রধান মাসুদ আজহারকে ‘প্রোটেক্টিভ কাস্টডি’-তে রাখা হয়েছে!
তেমনই খবর পাকিস্তানের সংবাদপত্র ‘ডন’ সূত্রে। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের আইনমন্ত্রী সানাউল্লাহকে উদ্ধৃত করে সংবাদপত্রটি এই খবর সামনে এনেছে।
এই প্রথম পাকিস্তানের কোনও মন্ত্রী মাসুদকে হেফাজতে নেওয়ার খবর স্বীকার করলেন। কিন্তু ‘প্রোটেক্টিভ কাস্টডি’-তে তাকে রাখার খবরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে কি মাসুদের প্রাণনাশের আশঙ্কা করছে পাকিস্তান? না হলে মাসুদ আজহারকে গোপন আস্তানায় নিয়ে গিয়ে কড়া নিরপত্তা বলয়ে মুড়ে দেওয়ার প্রয়োজন কেন হল? প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল।
‘প্রিভেন্টিভ কাস্টডি’-র অর্থ তদন্ত বা বিচারের জন্য অভিযুক্তকে আটক করা। কিন্তু ‘প্রোটেক্টিভ কাস্টডি’ সম্পূর্ণ অন্য বিষয়। কারও প্রাণসংশয় থাকলে তাঁকে নিরাপদে রাখার জন্য প্রশাসন ‘প্রোটেক্টিভ কাস্টডি’-র ব্যবস্থা করে। ‘প্রোটেক্টিভ কাস্টডি’-র বাংলা অর্থ হল ‘নিরাপদ হেফাজত’। অর্থাৎ পাক পঞ্জাবের আইনমন্ত্রীর কথা যদি সত্যি হয়, তা হলে জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারকে নিরাপত্তা দিতেই তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পঠানকোট হামলার মূল চক্রী হওয়ার যে অভিযোগ মাসুদের বিরুদ্ধে ভারত তুলেছে, সেই অভিযোগের তদন্ত বা জেরার জন্য মাসুদকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন:
সব দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে ভারত, তাই সুর নরম পাকিস্তানের
মাসুদের প্রোটেক্টিভ কাস্টডির খবর সামনে আসতেই বিভিন্ন শিবির প্রশ্ন তুলেছে যে, পাকিস্তান কি আবার লাদেন-নিধন অভিযানের মতো কোনও অভিযানের ভয় পাচ্ছে? অ্যাবটাবাদের গোপন আস্তানায় মার্কিন নৌসেনার ‘সিল-টিম ৬’ রাতের অন্ধকারে অভিযান চালিয়ে নিকেশ করেছিল ওসামা বিন লাদেনকে। মৌলানা মাসুদ আজহারের ক্ষেত্রেও তেমন কোনও ঘটনা ঘটতে পারে বলে কি পাকিস্তানের আশঙ্কা? না হলে প্রোটেক্টিভ কাস্টডিতে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ল কেন? প্রশাসন যখন কাউকে প্রোটেক্টিভ কাস্টডিতে পাঠায়, তখন কোথায় তাঁকে রাখা হচ্ছে, সে কথা গোপন রাখা হয়। সেই গোপন ডেরাও মুড়ে দেওয়া হয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায়। প্রশাসনের পক্ষে যিনি গুরুত্বপূর্ণ নন, তাঁর জন্য এমন ব্যবস্থা করার দরকার সাধারণত পড়ে না। পঞ্জাবের আইনমন্ত্রী সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, পঞ্জাব পুলিশই মাসুদকে নিরাপদ হেফাজতে রেখেছে। যদি তদন্তে তাঁর অপরাধ প্রমাণিত হয়, তবেই মাসুদকে গ্রেফতার করা হবে।
এই খবরে প্রমাণিত, মাসুদ আজহার পাকিস্তানের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। বলছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। মাসুদ আজহারকে কাঠগড়ায় তোলার বদলে তাকে রক্ষা করতেই যে পাক প্রশাসনের একাংশ বেশি উৎসাহী, তাও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy