Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Pakistan General Election 2024

জোট সরকারে থাকলেও কেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চান না? ব্যাখ্যা দিলেন বিলাবল

প্রথমে শোনা গিয়েছিল তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হবেন নওয়াদের দলের কেউ। বাকি দু’বছরের জন্য জন্য হবেন পিপিপি-র কেউ। তবে পরে বিলাবল জানিয়ে দেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান না।

Pakistan’s Bilawal Bhutto rejects ally’s offer to become Prime Minister

বিলাবল ভুট্টো জারদারি। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:১৯
Share: Save:

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে কোনও দলই একক ভাবে সরকার গঠন করার মতো আসন পায়নি। তবে জোট সরকার গঠনের বিষয়ে অনেকখানি কথা এগিয়েছে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং‌ বিলাবল ভুট্টো জারদারির দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-র মধ্যে। প্রথমে শোনা গিয়েছিল জোটের শর্ত অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ ভাগ করে নেবে দুই দল— তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হবেন পিএমএল-এন থেকে কেউ। আর বাকি দু’বছরের জন্য জন্য হবেন পিপিপি-র কেউ। তবে পরে বেনজির-পুত্র বিলাবল জানিয়ে দেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান না।

কী কারণে তাঁর এই সিদ্ধান্ত, এ বার তারও ব্যাখ্যা দিলেন বিলাবল। দলের শক্ত ঘাঁটি সিন্ধ প্রদেশের একটি বিজয় শোভাযাত্রায় তিনি বলেন, ‘‘আমাকে ওরা (পিএমএল-এন) বলল তিন বছরের জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী হতে দাও। তুমি দু’বছরের জন্য এই পদ পাবে। আমি বললাম না। আমি এ ভাবে প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না।” তার পরই বিলাবলের সংযোজন, “আমি যদি প্রধানমন্ত্রী হই, তবে পাকিস্তানের মানুষ আমায় নির্বাচিত করার পরেই ওই পদে বসব।” বিলাবল এ-ও জানান যে, তিনি এবং তাঁর দল কোনও মন্ত্রিত্বই দাবি করছে না।

তবে বিলাবল জানিয়েছেন, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পিপিপি-র প্রার্থী হবেন তাঁর পিতা আসিফ আলি জারদারি। পিপিপি সূত্রের খবর, জারদারিকে সমর্থন করবে নওয়াজের দল। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জল্পনায় জল ঢেলে সম্প্রতি নওয়াজও জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি ভাই শাহবাজ় শরিফকেই ওই পদের জন্য এগিয়ে দিচ্ছেন। তবে বিলাবল যে ভাবে জোটের সূত্রের কথা প্রকাশ্যে ফাঁস করে দিয়েছেন, তা ভাল ভাবে নিচ্ছে না পিএমএল-এন। নওয়াজের দলের নেতা ইশাক দার জানিয়েছেন, এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করা উচিত হয়নি বিলাবলের।

ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৯৩টি আসনে জিতেছেন। নওয়াজ়ের দল পিএমএল-এন পেয়েছে ৭৫টি এবং বিলাবলের পিপিপি পেয়েছে ৫৩টি আসন। এমকিউএমপি জিতেছে ১৭টিতে। কট্টরপন্থী নেতা মৌলানা ফজলুর রেহমানের নেতৃত্বাধীন উলেমা-ই-ইসলাম ফাজ়ি (জেইউআইএফ) জিতেছে চারটি আসনে। একক ভাবে কোনও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ১৩৩টি আসন না পাওয়ায় পিএমএলএন-পিপিপি জোট সরকার গড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE