থার্মাল ইমেজিং যন্ত্র ব্যবহার করে খুঁজে বার করা হয়েছিল পোষ্য কুকুর মার্থাকে। প্রতীকী ছবি।
একটি কালভর্টের নীচে নিকাশি পাইপে ঢুকে পড়েছিল মার্থা। সেই পাইপের ভিতর দিয়ে অনেকটা এগিয়ে যাওয়ার পর তার মধ্যেই আটকে গিয়েছিল সে। পাইপের ভিতরে আর্তনাদ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন সুসান এবং পল মিলিসেন্ট। যেমনটা আশঙ্কা করেছিলেন, ঠিক সেটাই চোখের সামনে দেখে আঁতকে উঠেছিলেন মিলিসেন্ট দম্পতি। তাঁদের প্রিয় পোষ্য মার্থা পাইপের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিল, কিন্তু তার শরীরটা আটকে গিয়েছিল। বেরোতে না পেরে ক্রমাগত আর্তনাদ করে চলেছিল সে।
পল এবং সুসানের পোষ্য কুকুর মার্থা। পল বলেন, “মার্থাকে ওই অবস্থায় দেখে দিশাহারা হয়ে পড়েছিলাম। পাইপের কোন জায়গায় আটকে রয়েছে মার্থা তা খোঁজার চেষ্টা করছিলাম। মার্থার অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম।” এর পরই দমকলকে ডাকেন পল। কিন্তু তারাও খুব একটা কিছু করে উঠতে পারেনি।
শনিবার সকালে পাইপের ভিতরে আটকেছিল মার্থা। পল জানান, সমাজমাধ্যমে তিনি মার্থার অবস্থার কথা জানান। তখন লিডসের একটি নিকাশি সংস্থা পলের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফেজ মাঝের তাঁর দল নিয়ে মার্থার উদ্ধারকাজে হাত লাগান। লাইট, ক্যামেরা, জেনারেটর, কোদাল, গাঁইতি সব নিয়ে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করে লিডসের ওই নিকাশি সংস্থা। নিয়ে আসা হয় মাটি খোঁড়ার যন্ত্রও। পাইপ না পাওয়া পর্যন্ত খোঁড়ার কাজ চলছিল। শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা পর্যন্ত মাটি খোঁড়ার কাজ চলে। তার মধ্যে আবহাওয়াও দুর্যোগপূর্ণ ছিল। গাছ ভেঙে পড়েছিল। বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে গিয়েছিল। ফলে খোঁড়ার কাজ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছিল উদ্ধারকারীদের।
ফেজ বলেন, “অবশেষে শনিবার মধ্যরাতে ভেজা মাটি সরিয়ে পাইপের কাছে পৌঁছতে পেরেছিলাম। তার পর পাইপ কাটা হয়েছিল। তখনও নাগাল থেকে ৫ ফুট দূরে ছিল মার্থা। খুব একটা বেশি দূরে না থাকলেও উদ্ধারে বেগ পেতে হচ্ছিল। থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা এনে মার্থার অবস্থান দেখে তার পর তাকে উদ্ধার করা হয়। তত ক্ষণে কেটে গিয়েছিল ১৮ ঘণ্টা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy