বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির আগে আরও চাপে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ বার বিদ্রোহের ইঙ্গিত তাঁর দলের অন্দরেই। পাকিস্তানের রাজনৈতিক সূত্রের খবর, ইমরানের দলের অন্তত ২৪ জন সাংসদ দল ছাড়তে পারেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে। বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁরাও সরকারের বিপক্ষে ভোট পারেন।
ইমরান সরকারের ব্যর্থতার জন্যই পাকিস্তানের আর্থিক পরিস্থিতি ক্রমশ বেহাল হচ্ছে এবং মূল্যবৃদ্ধি আকাশ ছুঁয়েছে বলে অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন বিরোধী পিএমএল-এন এবং পিপিপি জোটের অন্তত ১০০ জন সাংসদ। তার পর থেকেই ক্রমাগত চাপের মুখে ইমরান কখনও বিরোধী নেতাদের উদ্দেশে আপত্তিজনক মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন, কখনও ‘আলু-পেঁয়াজের দাম ঠিক করতে রাজনীতিতে আসিনি’ বলে নিজেই চাপে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁর দলের অন্দরেও যে ক্ষোভ জমছে, তার ইঙ্গিত মিলছে। পাকিস্তানের কয়েকটি প্রভাবশালী টিভি চ্যানেলের কাছে মুখ খুলতে শুরু করেছেন ইমরানের দল পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফের একাধিক সাংসদ। তাঁদের অভিযোগ, সরকার পরিচালনার ব্যাপারে চূড়ান্ত ব্যর্থ ইমরান খান। তাঁর অদক্ষতার জন্যই পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা উত্তরোত্তর খারাপ হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণেও সরকারের ব্যর্থতায় ভুগতে হচ্ছে আমজনতাকে। ফলে ইমরানকেই এর দায় নিতে হবে বলে সুর চড়াতে শুরু করেছেন ওই বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহী সাংসদদের দাবি, তাঁরা এই সব সমস্যা নিয়ে বারবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোনও লাভ হয়নি।
শুধু মুখ খোলা নয়, ইমরানের দলের এই বিদ্রোহী সাংসদেরা ইতিমধ্যেই ডেরা বেঁধেছেন ইসলামাবাদের সিন্ধ হাউসে। এ’টি ইমরানের বিরোধী পিপিপি জোটের পরিচালিত সিন্ধ প্রশাসনের সম্পত্তি। সিন্ধু প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তার বক্তব্য, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির আগে সরকার অপহরণ করতে পারে, এই আশঙ্কাতেই ওখানে এক সঙ্গে থাকছেন তাঁরা।
সব মিলিয়ে আগামী সোমবার থেকে পাক পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই চাপে ইমরান খান ও তাঁর সরকার। এই অধিবেশনেই বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা। এখন সব পক্ষেরই নজর সেই ভোটাভুটির দিকে। যেখানে নির্ধারিত হবে পাক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ভাগ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy