তালিবানি শাসনে ইসলাম শিক্ষায় জোর দেওয়া হবে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছবি: রয়টার্স
আফগানিস্তানের ইসলামিকরণই লক্ষ্য নয়া তালিবান সরকারের। সেই বিষয়টি নজরে রেখেই দেশের শিক্ষানীতি, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে আমূল বদল আনা হচ্ছে। বিজ্ঞানের পরিবর্তে ইসলাম ধর্ম ও সংস্কৃতি নিয়ে পড়াশোনার উপরই জোর দেওয়া হবে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী উপাচার্য আশরফ ঘইরত। সম্প্রতি মহম্মদ ওসমান বাবুরিকে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ থেকে সরিয়ে ঘইরতকে ওই পদে বসিয়েছে তালিবান। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সোচ্চার হতে শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। ইস্তফা দিয়েছেন ৭০ জন অধ্যাপকও।
যদিও এই বিক্ষোভকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ ঘইরত। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘এই সমালোচনার কোনও ভিত্তি নেই। নিজের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানিয়েছি আমি। শুধু একটু বলতে পারি, এই কাজের আমি যোগ্য ব্যক্তি।’’
আগামী দিনে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনে কী পরিবর্তন হতে চলেছে? এই প্রশ্নের জবাবে ঘইরত বলেন, ‘‘উচ্চশিক্ষা মন্ত্রকের পরিকল্পনা মেনেই আমরা এগিয়ে যাব। যেমন, ছেলেমেয়েরা এক সঙ্গে ক্লাসে পড়াশোনা করতে পারবে না। সবার জন্য, বিশেষত মহিলাদের জন্য ইসলামিক পরিবেশ তৈরি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আফগানিস্তানের সামগ্রিক উন্নতিতে লেখাপড়া ভীষণই জরুরি। তবে আধুনিক বিজ্ঞান-শিক্ষার আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলাম ধর্ম ও সংস্কৃতির উপরই বেশি জোর দেওয়া হবে এখানে।’’ তিনি এ-ও জানিয়ে দিলেন, গানবাজনার মতো ইসলামে যা যা নিষিদ্ধ রয়েছে, সে সব কিছুই চর্চা করা যাবে না কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy