Advertisement
২৪ মে ২০২৪
Ruchira Kamboj

নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার দাবি ভারতের

প্রসঙ্গত, এর আগেও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী এবং অস্থায়ী উভয় বিভাগে ব্যাপক সংস্কার চেয়ে দাবি তুলেছিল নয়াদিল্লি। তারই রেশ ধরে আবার সরব হতে দেখা গেল ভারতকে।

An image of Ruchira Kamboj

রুচিরা কাম্বোজ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৪ ০৮:২৫
Share: Save:

পুরনো দাবিকেই আরও বিস্তারিত স্বরে এবং কড়া সুরে তুললেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ। তাঁর দাবি, রাষ্ট্রপুঞ্জে অবিলম্বে সংস্কার হোক। গত কাল ভারতীয় সময় গভীর রাতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে কড়া ভাবে কাম্বোজ বলেন, ‘‘নিরাপত্তা পরিষদে সংস্কারের জন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে? বিশ্ব এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আর অপেক্ষা করতে নারাজ। অবিলম্বে এই পদক্ষেপ জরুরি।’’

প্রসঙ্গত, এর আগেও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী এবং অস্থায়ী উভয় বিভাগে ব্যাপক সংস্কার চেয়ে দাবি তুলেছিল নয়াদিল্লি। তারই রেশ ধরে আবার সরব হতে দেখা গেল ভারতকে। এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে ব্রাজিল, জাপান, জার্মানি-সহ একাধিক দেশ। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সংস্কার নিয়ে আলোচনা চলছে বলে উল্লেখ করে কাম্বোজ জানান, ২০০০ সালের সম্মেলনেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা নিরাপত্তা পরিষদের সব দিক থেকে সংস্কার প্রচেষ্টা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরে প্রায় ২৫ বছর পার হয়ে গিয়েছে। সে কাজ এগোয়নি।

আগামী বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের ৮০তম বার্ষিকী এবং সেপ্টেম্বরে নির্ধারিত একটি গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলন হবে বলে ঠিক হয়েছে। তার আগেই এই সংস্কারগুলি রূপায়ণ করার দাবি তুলেছেন কাম্বোজ। আফ্রিকা-সহ বিশ্বের নানা অংশের তরুণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কণ্ঠস্বর শুনে এই সংস্কারকে এগিয়ে নিতে হবে বলেও মত দিয়েছেন তিনি। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার বার্ষিক প্রকাশ্য অধিবেশনে কাম্বোজ বলেছিলেন, ‘‘গ্লোবাল সাউথের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আমরা সামগ্রিক যন্ত্রণার কথা আগেও জানিয়েছি। নিরাপত্তা পরিষদের অভিজাত টেবিলে আমাদের কোনও প্রতিনিধি নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE