যুদ্ধের আবহে নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইন বন্ধ করেছেন পুতিন। ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক ভাবে মস্কো জানিয়েছিল, গ্যাসের পাইপলাইনে মেরামতির কারণেই এই ‘সাময়িক সিদ্ধান্ত’। কিন্তু এক সপ্তাহ পর ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার জানিয়ে দিল, আর্থিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা হলে ইউরোপে ফের গ্যাস পাঠানো সম্ভব হবে না।
ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রুশ গ্যাস সরবরাহ তলানিতে ঠেকায় ইতিমধ্যেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অশান্তির আঁচ মিলেছে। চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে হয়েছে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ। স্পেন এবং জার্মানির নাগরিকদের একাংশও খোলাখুলি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, জাতীয় স্বার্থ বিঘ্নিত করে মস্কোর উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বলবতের নীতি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
গত সপ্তাহে মেরামতির জন্য নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইন বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। প্রাথমিক ভাবে তিন দিনের জন্য সরবরাহ বন্ধের কথা ঘোষণা করা হলেও, সে প্রতিশ্রুতি মানেনি মস্কো। তার ফলেই ক্রমশ গ্যাসের সঙ্কট বাড়ছে ইউরোপে। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে উত্তর-পূর্ব জার্মানি পর্যন্ত বাল্টিক সাগরের তলদেশ দিয়ে ১,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই গ্যাস পাইপলাইনটি ২০১১ সালে চালু হয়েছিল। এর মাধ্যমে রাশিয়া দিনে ১৭ কোটি ঘনমিটার গ্যাস পাঠাতে পারে ইউরোপে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার রাতে জানান, আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়া আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বলবত করায় নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইন মেরামতিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে গ্যাস পাম্প করে সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে পাইপলাইন বন্ধ রাখতে হচ্ছে।’’ যদিও ইউরোপের সংবাদমাধ্যম মস্কোর এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয়। তাদের মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউরোপের উপর চাপ বাড়াতেই নয়া কৌশল নিয়েছেন পুতিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy