Advertisement
১৬ মে ২০২৪
Russia

Russia-Ukraine War: ফ্রান্সে আশ্রয় নিয়েছেন ৩০ হাজার ইউক্রেনীয় শরণার্থী! ভিড় বাড়ছে স্পেন, পর্তুগালেও

২৭ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী সংক্রান্ত বিভাগ (ইউএনএইচসিআর) জানায়, যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে ৫০ লক্ষ মানুষ ইউক্রেন ছাড়তে পারেন।

ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে শরণার্থী স্রোত বাড়ছে ইউরোপে।

ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে শরণার্থী স্রোত বাড়ছে ইউরোপে। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
প্যারিস শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২২ ১১:৪৩
Share: Save:

ইউক্রেনে রুশ সেনার অভিযান ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে ইউরোপের উপর। পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, মলডোভার সীমান্ত পেরিয়ে শরণার্থীদের ঢেউ আছড়ে পড়ছে পশ্চিম ইউরোপে। একে ‘পশ্চিম ইউরোপের সঙ্কটময় সময়’ বলে চিহ্নিত দিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীদের। এই সমস্যা কী ভাবে সামলানো যাবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে।

ফ্রান্সের গৃহ ও আবাসনমন্ত্রী এমানুয়েল ওয়ারগন রবিবার বলেছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে ৩০ হাজারেরও বেশি শরণার্থী আমাদের দেশে এসেছেন। তাঁদের আশ্রয় এবং খাদ্য সরবরাহের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’ তবে ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ফ্রান্সের মধ্যে দিয়ে স্পেন ও পর্তুগালে চলে গিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ওয়ারগন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ১ লক্ষ শরণার্থীর আশ্রয় এবং খাদ্যের ব্যবস্থা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের ঘোষণা করেছিলেন। যুদ্ধের প্রথম দু’দিনেই ইউক্রেন ছেড়েছিলেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। ২৭ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী সংক্রান্ত বিভাগ (ইউএনএইচসিআর) ওই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছিল, যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে ৫০ লক্ষ মানুষ ইউক্রেন ছাড়তে পারেন। ফলে ইউরোপে নতুন করে শরণার্থী সঙ্কট তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রবিবার, যুদ্ধের ৩২তম দিনে ইউএনএইচসিআর প্রকাশিত তথ্য জানাচ্ছে এ পর্যন্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৯ লক্ষ মানুষ। তাঁদের মধ্যে ২২ লক্ষেরও বেশি আশ্রয় নিয়েছেন পোল্যান্ডে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE