‘দ্য লায়ন কিং’ ছবিতে ‘সিম্বা’ ( বাঁ দিকে) এবং সিঙ্গাপুরের পশুশালার সিংহশাবক (ডান দিকে)। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া এবং এএফপি
ছবির সিম্বা জীবনের সহজপাঠ পেয়েছিল তার বাবার কাছে। বাস্তবের সিম্বা পৃথিবীতে এলই কৃত্রিম উপায়ে। সিঙ্গাপুর পশুশালায় তার জন্ম হল কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে।
ডাক্তারি পরিভাষায় এই কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিকে বলা হয় ‘আর্টিফিশিয়াল ইনসেমিনেশন’। অর্থাৎ স্বাভাবিক পদ্ধতিতে স্ত্রী-পুরুষ মিলন না হলে পুরুষের শরীর থেকে বীর্য সংগ্রহ করে তা প্রবেশ করানো হয় স্ত্রীর দেহে। এই উপায়েই সিঙ্গাপুরে জন্ম হয়েছে ‘সিম্বা’-র। একটি বয়স্ক আফ্রিকান সিংহের বীর্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। তার পর সেটি প্রবেশ করানো হয়েছিল ওই পশুশালারই পূর্ণবয়স্ক সিংহীর দেহে।
সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে এটি প্রথম ঘটনা হলেও এই ভাবে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে এর আগে ২০১৮ সালে দু’টি সিংহশাবকের জন্ম হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। পরিংখ্যান বলছে, গত দুই দশকে সারা বিশ্বে অন্তত ৪০ শতাংশ হারে কমে গিয়েছে সিংহের সংখ্যা। প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থার দাবি, বর্তমানে বিশ্বে পূর্ণবয়স্ক সিংহের সংখ্যা ২৩ হাজার থেকে ৩৯ হাজার।
সাম্প্রতিক উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনতেই কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুরের সিংহশাবক সিম্বার জন্ম হয়েছে ২০২০ সালের অক্টোবরে। এত দিনে তাকে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। তবে গল্পের শাবক সিম্বার মতো সে-ও শৈশবেই হারিয়েছে তার বাবাকে। পশুশালার তরফে জানানো হয়েছে, বীর্য সংগ্রহ করার দিনকয়েক পরে মৃত্যু হয় বৃদ্ধ সিংহটির। তবে নবজাতকের খেয়াল রাখছে তার মা, সিংহী কায়লা। ঠিক যেমন ভাবে ছবিতে মুফাসার একমাত্র সন্তানকে আগলে রাখতে চেয়েছিল তার সিংহী মা, সরাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy