ক্ষেপণাস্ত্রটি পড়লেও বিস্ফোরণ ঘটেনি। ছবি টুইটার।
উত্তর কোরিয়া কি হামলা চালাল? স্থানীয় সময় মঙ্গলবার গভীর রাতে (তারিখ অনুযায়ী বুধবার) আগুনের ঝলকানি আর বিস্ফোরণের মতো শব্দে এমন আশঙ্কাতেই থরহরি কম্প শুরু হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলবর্তী শহর গ্যাংনিউংয়ের বাসিন্দাদের মধ্যে। তবে সেই আশঙ্কা সত্যি নয়। উত্তর কোরিয়াকে পাল্টা জবাব দিতে রীতিমতো নাজেহাল হল দক্ষিণ কোরিয়া। নিজেদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়ল তাদের দেশের মাটিতেই।
গোলযোগের জেরে দক্ষিণ কোরিয়ার বায়ুসেনার ঘাঁটিতেই আছড়ে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি। ওই বায়ুসেনা ঘাঁটিটির কাছেই রয়েছে গ্যাংনিউং শহর। ক্ষেপণাস্ত্রটি সেখানে পড়তেই বিকট আওয়াজ হয়। আগুনের ঝলকানিও দেখা যায়। কিন্তু বিস্ফোরণ ঘটেনি। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। তবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শহরের বাসিন্দারা। এ জন্য পরে ক্ষমা চাইল দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী।
An explosion near Gangneung last night caused a social media storm in South Korea. Zero media reports or emergency alerts, raising suspicions of a cover up, a jet crash, or a missile launch.
— Raphael Rashid (@koryodynasty) October 5, 2022
It turns out it was the latter, gone very wrong.pic.twitter.com/AjT6dHPcYL
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, স্বল্প পাল্লার ‘হিউমু-২ ব্যালিস্টিক’ ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করতে গিয়ে তা দক্ষিণ কোরিয়ার বায়ুসেনার ঘাঁটির মধ্যেই পড়ে। এই ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই দুর্ঘটনার বিষয়টি নজরে আসে সে দেশের সেনার। কী কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনার তরফে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার জাপানের উপর দিয়ে আচমকা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ‘বদলা’ নিয়ে উদ্যত হয় দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা। কিমের দেশকে পাল্টা জবাব দিতে যৌথ ভাবে জাপান সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ওই দুই দেশ। উত্তর কোরিয়ার এই আচরণের নিন্দায় সরব হয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা। কিমকে জবাব দিতেই তারা ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy