জো বাইডেন। —ফাইল চিত্র।
রীতিমতো উৎসব করে চিন-রাশিয়ার বন্ধুত্বের ৭৫ বছর পালন করেছে বেজিং। আমন্ত্রিত ছিলেন খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। গত কাল তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পরে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধে তাঁরা ‘রাজনৈতিক সমাধান’ চান। চিন যে রাশিয়ার পাশে রয়েছে, সে কথাও বার বার মনে করিয়ে দিয়েছেন শি। এতে ক্ষুব্ধ আমেরিকা। তাদের বক্তব্য, দু’দিকেরই ক্ষীর খেয়ে চললে হবে না!
রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে আমেরিকা-ইউরোপ। রাষ্ট্রপুঞ্জের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানও তাদের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। এ অবস্থায় গোড়া থেকেই রাশিয়াকে সমর্থন জানিয়ে আসছে চিন। পশ্চিমি শক্তির এ-ও অভিযোগ, ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে চিন। এমনকি রাষ্ট্রপুঞ্জে মস্কোর হয়ে সুর চড়াচ্ছে বেজিং। আমেরিকার অভিযোগ, চিন এক দিকে রাশিয়ার হয়ে সরব হচ্ছে, অন্য দিকে পশ্চিমের সঙ্গে অর্থনৈতিক চুক্তিও বজায় রাখছে।
ইউক্রেনের যুদ্ধে ‘রাজনৈতিক সমাধান’ চাওয়ার পাশাপাশি শি এ-ও বলেন, ‘‘রাশিয়া-চিন মৈত্রী গোটা বিশ্বের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল রাখছে।’’ এ প্রসঙ্গে আমেরিকা কী ভাবছে, তা জানতে চাওয়া হলে বিদেশ দফতরের প্রধান মুখপাত্র বেদান্ত পটেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘চিন কিন্তু এর পরে ইউরোপ ও অন্য দেশগুলোর কাছে ভাল, মজবুত, গভীর সম্পর্ক চাইতে পারে না। যে দেশ ইউরোপের সুরক্ষার পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, তাকে ইন্ধন দিচ্ছে চিন। দু’দিক থেকেই ক্ষীর খেয়ে যেতে পারে না ওরা।’’
পটেল জানিয়েছেন, আমেরিকার অবস্থান সম্পর্কে জি৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোকে, নেটো সদস্যদের এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে জানানো হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘রাশিয়াকে অস্ত্রের জোগান দিয়ে চিন শুধু ইউক্রেনের ক্ষতি করছে না, গোটা ইউরোপকে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ফেলছে। এর পরে তারা কী করে ইউরোপের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক চায়!’’
পটেল আরও বলেন, ‘‘রাজনৈতিক সমাধান চান ওঁরা, সমাধান তো একটাই। রুশ ফেডারেশন ইউক্রেন থেকে বেরিয়ে যাক। ওরা ইউক্রেনের জমি ছেড়ে দিক, ক্রাইমিয়া ছেড়ে দিক, তাতেই শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু পুতিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সেই পথে হাঁটতে একেবারেই আগ্রহী নন।’’ সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy