Advertisement
০৮ মে ২০২৪

জুনেই কি সরছেন টেরেসা

ব্রিটিশ কূটনীতিকদের একাংশ বলছেন, পরিস্থিতি যা, তাতে মে-র স্বেচ্ছায় বিদায় নেওয়া প্রায় নিশ্চিত।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৯ ০১:৫২
Share: Save:

ফের চাপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে লেবার পার্টির নেতৃত্বাধীন বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা আজ ফের ভেস্তে গেল তাঁর।

ব্রেক্সিট চুক্তিতে পার্লামেন্ট সায় দিলেই পদত্যাগ করবেন বলে কথা দিয়েছেন মে। অথচ ব্রেক্সিট-ভোটের তিন বছর পরেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়ার প্রশ্নে জল ক্রমশ ঘোলা হয়েই চলেছে। জুনের প্রথম সপ্তাহে ফের বৈঠক ডেকেছে পার্লামেন্ট। হবে ভোটও। কিন্তু এ-ও যদি ভেস্তে যায়! কাল কনজারভেটিভ কমিটির চেয়ারম্যান জানালেন, ‘‘জল যে দিকেই গড়াক, আগামী মাসের গোড়াতেই প্রধানমন্ত্রী মে তাঁর পদত্যাগের সময়সীমা নিশ্চিত করবেন। দিনক্ষণ ঠিক হবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনেরও।’’

ব্রেক্সিট-জটে মে-র দলের অন্দরেও ক্ষোভ বাড়ছে। এর আগে তিন বার হাউস অব কমন্সে প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট প্রস্তাব নাকচ হয়ে গিয়েছে। এ বারও তেমন আশার আলো দেখছেন না অনেকে। তাঁদের কেউ বলছেন, এখনই ইস্তফা দিন মে। অন্য অংশ বলছে, ৪০ বছরের পুরনো নীতি-বদলের ক্ষেত্রে নতুন ভাবে ভাবনা চিন্তা করতে না-পারলে নিজের পদত্যাগের ব্যাপারে অন্তত দিনক্ষণ স্থির করুন প্রধানমন্ত্রী!

ব্রিটিশ কূটনীতিকদের একাংশ বলছেন, পরিস্থিতি যা, তাতে মে-র স্বেচ্ছায় বিদায় নেওয়া প্রায় নিশ্চিত। তিনি গেলে এ বার হয়তো বরিস জনসন দলের হয়ে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লড়বেন। কনজ়ারভেটিভ পার্টির হয়ে যে কমিটি এই নেতৃত্ব বাছাইয়ের বিষয়টি দেখে, তার প্রধান গ্রাহাম ব্রাডি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উত্তরসূরি বাছাই প্রক্রিয়ায় মে নিজেও সক্রিয় অংশগ্রহণ করবেন। ব্রাডির দাবি, ইইউ ছেড়ে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর মে। ভোটের আগে পার্লামেন্ট প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইতিবাচক কথা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ইইউ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া অর্থাৎ ব্রেক্সিট কার্যকর করার ক্ষেত্রে গোড়ায় সময়সীমা ছিল ২৯ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু তা সম্ভব না হওয়ায়, সময়সীমা বাড়িয়ে ১২ এপ্রিল করা হয়। ১০ এপ্রিল ব্রাসেলসের বৈঠকে সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানান মে। ইইউ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছে ব্রিটেনকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Theresa May Brexit England
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE