Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Nobel Prize

হ্যাকারমুক্ত টেলিযোগাযোগের রাস্তা দেখিয়ে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

তিন বিজ্ঞানীর গবেষণা টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ভাবে হ্যাকারদের নাগালের বাইরে রাখার বিষয়ে পথ দেখাতে পারবে বলে অনুমান। অতি দ্রুত গতির ইন্টারনেট পেতেও সাহায্য করবে এই গবেষণা।

অ্যালেন অ্যাসপেক্ট, জন এফ ক্লজার এবং অ্যান্টন জিলিঙ্গার।

অ্যালেন অ্যাসপেক্ট, জন এফ ক্লজার এবং অ্যান্টন জিলিঙ্গার। ছবি: রয়্য়াল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২২ ১৭:২৬
Share: Save:

হ্যাকারদের নাগাল থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত টেলিযোগাযোগের পথ দেখিয়ে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন তিন দেশের তিন বিজ্ঞনী— ফ্রান্সের অ্যালেন অ্যাসপেক্ট, আমেরিকার জন এফ ক্লজার এবং অস্ট্রিয়ার অ্যান্টন জিলিঙ্গার। মঙ্গলবার পদার্থবিদ্যায় নোবেলজয়ী হিসাবে এই তিন জনের নাম ঘোষণা করেছ রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি। তারা জানিয়েছে, তিন বিজ্ঞানীর করা জট পাকানো কোয়ান্টামের (এনট্যাঙ্গেলড ফোটন) গবেষণাকেই এই সম্মান জানানো হচ্ছে।

গত কয়েক দশক ধরে, মূলত যখন থেকে মোবাইল যোগাযোগ প্রযুক্তির সূত্রপাত, তখন থেকেই সাধারণ মানুষের জীবনে হ্যাকার-সমস্যারও শুরু। মোবাইলে ওটিপির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাঙ্ক-তথ্য বেহাত হওয়া, ফোনে আড়ি পাতা-সহ একাধিক সমস্যা ঢুকে পড়তে শুরু করে সাধারণ মানুষের জীবনে। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা বিভাগের জরুরি এবং গোপন তথ্য বেহাত হওয়ার ঝুঁকিও আরও বাড়ে। প্রভাবশালীদের গুরুত্বপূর্ণ কথাবার্তায় আড়ি পাতার ঘটনাও ঘটতে দেখা গিয়েছে সম্প্রতি পেগাসাস কেলেঙ্কারিতে। নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানীর গবেষণা টেলিযোগাযোগ এই ব্যবস্থাকে হ্যাকারদের নাগালের সম্পূর্ণ বাইরে রাখার বিষয়ে পথ দেখাতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে যোগাযোগ করতে হবে উপগ্রহ মারফৎ। বিশেষ প্রযুক্তি সম্পন্ন কোয়ান্টাম ফোনের সাহায্যে। এমনই জানাচ্ছেন হরিশচন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রফেসর উজ্জ্বল সেন।

তবে এগুলি হল এই আবিষ্কারের ফলিত প্রয়োগ। প্রফেসর উজ্জ্বলের কথায়, ‘‘তিন বিজ্ঞানীর গবেষণা পদার্থ বিদ্যার মৌলিক কিছু বিষয় নিয়েও বদলে দিয়েছে ধারণা। বহু বছর আগে আইনস্টাইনের গবেষণায় এ ব্যাপারে সামান্য ইঙ্গিত ছিল। তিন বিজ্ঞানীর গবেষণা সেই বিষয়টিই গবেষণা এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। যা বিজ্ঞানের দুনিয়াতেও একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পাওয়া।’’

নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানী প্রত্যেকেরই বয়স হয়েছে। তবে ক্লজার এঁদের মধ্যে বরিষ্ঠতম। তাঁর বয়স ৮০। জিলিঙ্গার এবং অ্যাসপেক্টের বয়স যথাক্রমে ৭৭ এবং ৭৫ বছর। এই তিনজনের মধ্যেই পুরস্কারের অর্থমূল্য এক কোটি সুইডিশ ক্রোনর ভাগ করে দেওয়া হবে।

এঁদের মধ্যে অ্যাসপেক্ট বর্তমানে ইউনিভার্সিটি প্যারিস-স্যাকলে এবং প্যালেইসুর ইকোলে পলিটেকনিকের অধ্যাপক, জন এফ ক্লাজার তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান আমেরিকার জে এফ ক্লাজার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের গবেষক হিসেবে কর্মরত এবং জিলিঙ্গার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE