ছবি সংগৃহীত
ক্যাপিটল হিলে গত কালের ‘হামলা’-র ঘটনায় এখনও পর্যন্ত জঙ্গি-যোগ দেখছে না পুলিশ। ওয়াশিংটনে আমেরিকান কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটলের কাছে গত কাল নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে গাড়ি নিয়ে ঢুকে দুই পুলিশ অফিসারকে ধাক্কা মারে এক যুবক। এক অফিসার মারা যান। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় হামলাকারীরও। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা নাগাদ ক্যাপিটলের উত্তর দিকের প্রবেশপথের সামনে গাড়ি নিয়ে চড়াও হয় নোয়া গ্রিন নামে ওই যুবক। তার গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় উইলিয়াম ইভান্স নামে এক পুলিশ অফিসারের। ১৮ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন তিনি। আহত আর এক অফিসারের অবস্থা স্থিতিশীল। দুই অফিসারকে ধাক্কা মারার পরে গাড়ি থেকে নেমে আসে ইন্ডিয়ানার বাসিন্দা বছর পঁচিশের নোয়া। বাকি অফিসারদের দিকে ছুরি উঁচিয়ে ভয় দেখায় সে। তখনই গুলি করা হয় তাকে। হামলার কারণ জানা যায়নি। তবে এই ঘটনার সঙ্গে ‘সন্ত্রাসবাদী যোগ’ আছে বলে এখনই মনে করছে না পুলিশ। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘হামলায় সন্ত্রাসের যোগ নেই বলেই মনে করা হচ্ছে, তবে আমরা পরবর্তী তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাব।’’
গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের হামলায় ৫ জনের মৃত্যুর পরে নিরাপত্তার বেড়াজাল আরও আঁটোসাটো করা হয়েছিল ওই অঞ্চলে। নিহত অফিসার ইভান্সের প্রতি সম্মান জানাতে হোয়াইট হাউসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘ক্যাপিটল গ্রাউন্ডের একটি সুরক্ষা চৌকিতে হামলায় পুলিশ অফিসার উইলিয়াম ইভান্সের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তাঁর এক সহকর্মীও বাঁচার লড়াই চালাচ্ছেন। ইভান্সের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’’
ফেসবুকে নিজেকে আমেরিকার ইসলামি ধর্মগুরু এবং ‘নেশন অব ইসলাম’ সংগঠনের প্রধান লুই ফারাখানের অনুগামী বলে ব্যাখ্যা করেছিল নোয়া। আদতে ইন্ডিয়ানার বাসিন্দা হলেও সে থাকত ভার্জিনিয়ায়। নোয়া জানিয়েছে, অতিমারির জেরে চাকরি না থাকায় গত কয়েক মাস যাবৎ সমস্যার মধ্যে কাটাচ্ছিল সে। সম্প্রতি অনলাইনে এমবিএ পড়ার জন্য ফ্লরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিল সে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল নোয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy