ছবি: সংগৃহীত।
হোয়াইট হাউস বলছে, দু’দেশের প্রেসিডেন্টের সোমবারের সাক্ষাতে মানবাধিকার থেকে শুরু করে মাদক অভিযান— কথা হয়েছে সব নিয়েই। রুদ্ধদ্বার সেই বৈঠকে ছুঁয়ে গিয়েছে মাদক যুদ্ধের প্রসঙ্গ। ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্রের দাবি, আজকের বৈঠকে মানবাধিকার নিয়ে কথাই হয়নি। ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতের্তের ঠিক কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
দুতের্তের সঙ্গে কথার পরে ছবি তোলার সময়ে সাংবাদিকরা দুই প্রেসিডেন্টকে মানবাধিকার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলেও তাতে পাত্তা দেননি দুই নেতা। দুতের্তে সাফ বলেন, ‘‘এ সব শুনব না। এটা সাংবাদিক বৈঠক নয়। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।’’ ট্রাম্পের দাবি, ‘‘আমাদের সম্পর্ক দারুণ। ভাল আলোচনা হয়েছে।’’ হোয়াইট হাউস প্রেস সচিব সারা স্যান্ডার্স বলেন, ‘‘আইএস, মাদক পাচার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ফিলিপিন্সে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের ক্ষেত্রে মানবাধিকারের প্রসঙ্গ কিছুটা ছুঁয়েছেন দুই প্রেসিডেন্ট।’’ মাদক নিয়ন্ত্রণের নামে দুতের্তে মানবাধিকারের তোয়াক্কা না করে অভিযুক্তদের যখন তখন ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন বা গুলি করে মারার নির্দেশ দিয়েছেন। বিভিন্ন সংগঠন আপত্তি করলেও কর্ণপাত করেননি দুতের্তে। ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় মানবাধিকার প্রসঙ্গ ওঠে কি না, জানতে আগ্রহী ছিল বিশ্ব। বস্তুত দক্ষিণপন্থীদের আশা ছিল, দুতের্তেকে কড়া বার্তা দেবেন ট্রাম্প। তেমনটা হয়েছে বলে ইঙ্গিত মেলেনি।
দুতের্তের মুখপাত্র হ্যারি রোক বলছেন, ‘‘মানবাধিকারের প্রসঙ্গ ওঠেইনি। দুতের্তে মাদক অভিযানের কথা তুলেছেন। ট্রাম্প সহানুভূতির সঙ্গে শুনেছেন। তবে অবস্থান স্পষ্ট করেননি, মাথা নেড়েছেন।’’ সাংবাদিকদের প্রথমে কড়া ভাবে বললেও পরে দুতের্তে মজা করে বলেন, ‘‘আমরা এমন বিষয়ে আলোচনা করব, যাতে দু’দেশের স্বার্থ জড়িত। তখন আপনারা থাকবেন, আপনারা তো চর!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy