প্রতিবাদ। ওরেগনের পোর্টল্যান্ডে বৃহস্পতিবার রাতে। — এ পি
প্রতিরোধের আগুন জ্বলছেই! কিছু মন্তব্য তাতে ঘি ঢালছে!
সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রাষ্ট্রনায়ক মানতে অস্বীকার করে বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিনেও পথে নামল মার্কিন জনতা। ‘নট মাই প্রেসিডেন্ট’ স্লোগানে বৃহস্পতিবারও কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেল ওরেগনের পোর্টল্যান্ড শহর! ইতস্তত স্লোগান, বিক্ষোভ, ভাঙচুর— হঠাৎ করেই বদলে গেল কর্মচঞ্চল শহর। যা থামাতে পুলিশ ব্যবহার করল রবার-বুলেট, পেপার স্প্রে, স্টান গ্রেনেড।
যাঁকে ঘিরে এই বিক্ষোভের স্রোত, নব নির্বাচিত সেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ দিন আবার প্রতিবাদপর্ব নিয়ে নানা রকম মন্তব্য করে বসলেন। গোড়ায় টুইট করে এই প্রতিবাদকে অন্যায্য বলেও পর মুহূর্তেই তাঁর একেবারে উল্টো সুর!
যদিও এই সুর বদলে বিশেষ চিঁড়ে ভিজছে না। ক্রমশ সুর চড়াচ্ছেন ট্রাম্প-বিরোধীরা। পোর্টল্যান্ড পুলিশের টুইটার হ্যান্ডেলে এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ‘দাঙ্গা’ বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যাতে বিলক্ষণ চটেছেন বহু মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, প্রতিবাদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে ওই টুইটে। বিক্ষোভ চলছে লস অ্যাঞ্জেলেস, ফিলাডেলফিয়া, ডেনভার, মিনিয়াপোলিস, বাল্টিমোর, ডালাস ও অকল্যান্ডে। এ দিনও নিউ ইয়র্কে ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে দফায় দফায় স্লোগান দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
এক দিকে যখন ট্রাম্প-বিরোধীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে তুলকালাম চলছে দেশজুড়ে, তখনই পাল্টা আক্রমণে নেমেছে ট্রাম্পপন্থীরাও! রাতারাতি টুইটারে তৈরি হয়েছে হ্যাশট্যাগ— #ট্রাম্পরায়ট! সেখানে জোরকদমে চলছে দুপক্ষের বাগ্যুদ্ধ!
শুধু কথার লড়াই-ই নয়, ট্রাম্পপন্থীরা প্রকাশ্যেই এ বার বিদ্বেষমূলক কাজকর্ম শুরু করেছে বলে দাবি করেছে একটি মার্কিন দৈনিক। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে গত আঠারো মাসের দীর্ঘ প্রচারপর্বে ট্রাম্পের একাধিক মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিশ্বজুড়ে। প্রচার করতে গিয়ে ট্রাম্প কখনও বলেছেন, মুসলিমদের দেশে ঢোকা বন্ধ করে দেবেন, মেক্সিকোর সীমান্তে পাঁচিল তুলে শরণার্থীদের ঠেকাবেন। কসুর করেননি মহিলাদের নিয়ে যা খুশি তাই বলতেও। কখনও আবার অটিস্টিক শিশুকে প্রচারসভার দর্শকাসন থেকে বাইরে বের করে দিতেও কুণ্ঠা করেননি।
ওই দৈনিক জানিয়েছে, নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যান্ডন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মুসলিমদের প্রার্থনাঘরের দেওয়ালে স্প্রে-পেন্টে ট্রাম্পের নাম লিখে গিয়েছে কেউ। মিনেসোটা হাইস্কুলে চোখে পড়েছে ‘সাদাদের আমেরিকা’, ‘আফ্রিকায় ফিরে যাও’ দেওয়াল লিখন। মিশিগানের একটি স্কুলের ক্যান্টিনে ‘দেওয়াল তৈরি হোক, দেওয়াল তৈরি হোক’ স্লোগান উঠছে বলেও খবর। উত্তর ক্যারোলাইনায় চোখে পড়তে শুরু করেছে ‘কালোদের জীবন আর ভোট, কোনওটারই দাম নেই’ লিখন!
ট্রাম্পের ‘স্বপ্নের আমেরিকা’র ছবি কি এমনই হবে? সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy