-ফাইল ছবি।
বিশ্বে অন্য রকমের আরও একটি ‘অতিমারি’ আসছে। সেই ‘অতিমারি’র নাম ভয়াবহ খরা। রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি বিশেষ রিপোর্টে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
‘স্পেশাল রিপোর্ট অন ড্রট ২০২১’ শীর্ষক রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে, বিশ্ব উষ্ণায়ন, জলবায়ু ও ঋতুগুলির সময়ের দ্রুত পরিবর্তন, ভূগর্ভস্থ জলের যথেচ্ছ ব্যবহার ও অপচয় এবং পৃথিবীজুড়ে জনঘনত্ব বৃদ্ধিই ডেকে আনতে চলেছে সেই অন্য রকমের ‘অতিমারি’। সৌজন্যে ভয়াবহ খরা। রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি জেনারেলের ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশান বিভাগের স্পেশাল রিপ্রেজেন্টেটিভস মামি মিজুতোরি বলেছেন, “ভয়ঙ্কর খরা বিশ্বে আর একটি অতিমারি আনতে চলেছে। যার কোনও টিকা কোনও দিনই বেরবে না।”
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য ইতিমধ্যেই ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণে ব্যাপক ঘাটতি দেখা গিয়েছে। জলের স্তর অনেক নীচে নেমে গিয়েছে। যে গভীরতায় খনন আধুনিক প্রযুক্তির পক্ষে দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে উত্তরোত্তর। গত দু’দশকে বিশ্বে খরাক্লিষ্ট হয়েছেন অন্তত দেড়শো কোটি মানুষ। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার মূল্যের অর্থনীতি। এ-ও বলা হয়েছে, এই হিসাব আদতে এর চেয়ে কিছুটা কমও হতে পারে। পরিস্থিতি যা তাতে কয়েক বছরের মধ্যেই তীব্র জলকষ্টে ভুগতে হবে বিশ্বের জনসংখ্যার অন্তত এক-পঞ্চমাংশকে।
ভূগর্ভস্থ জলের অপচয় রোখার কয়েকটি পথেরও উল্লেখ করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে। বলা হয়েছে, তার জন্য আরও অনেক গুণ বাড়াতে হবে কৃষিকাজ। আর পর্যটন, পরিবহণ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কমাতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy