ভারত-বিরোধী জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বলে যে ভাবে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াচ্ছে আমেরিকা, তাতে ইসলামাবাদের দুশ্চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে। —প্রতীকী ছবি।
ফের পাকিস্তানকে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা আমেরিকার। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নয়াদিল্লিকে সঙ্গে নিয়েই চলবে ওয়াশিংটন। ট্রাম্প প্রশাসন আবার বুঝিয়ে দিল ইসলামাবাদকে। পাক সংবাদপত্র ‘ডন’ সূত্রের খবর, ২০টি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের একটি তালিকা পাকিস্তানকে দিয়েছে আমেরিকা, যাদের মধ্যে নাম রয়েছে ভারত বিরোধী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিরও। পাকিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করেই নাশকতা চালাচ্ছে এই সংগঠনগুলি, জানিয়েছে আমেরিকা। এদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতেই হবে পাকিস্তানকে, এমন বার্তাই আবার দেওয়া হয়েছে।
ডন সূত্রের খবর, যে ২০টি জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে পদক্ষেপ করতে বলেছে আমেরিকা, সেগুলিকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। একটি শ্রেণিতে রয়েছে সেই সব সংগঠনের নাম, যারা আফগানিস্তানে হামলা চালায়। আর একটি শ্রেণিতে রয়েছে সেই সব সংগঠনের নাম, যারা পাকিস্তানেই নাশকতা চালায়। আর তৃতীয় শ্রেণিটিতে রয়েছে সেই সব সংগঠনের নাম, যাদের নিশানায় মূলত কাশ্মীর তথা ভারত।
পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, আমেরিকার দেওয়া তালিকায় সবচেয়ে উপরে রয়েছে হাক্কানি নেটওয়ার্কের নাম। উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানেই মূলত এই সংগঠনের ঘাঁটি। সেখান থেকেই আফগানিস্তানে নাশকতা চালায় হাক্কানি।
আরও পড়ুন: গ্রিন কার্ড লটারি অবিলম্বে বন্ধ করে দেব, ঘোষণা ক্ষিপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের
ভারত বিরোধী জঙ্গি সংগঠনগুলির মধ্যে লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ এবং হরকত-উল-মুজাহিদিনের নাম রয়েছে মার্কিন তালিকায়। পাকিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে এই সংগঠনগুলি ক্রমাগত ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে পাকিস্তানকে ফের জোর দিয়ে জানিয়েছে আমেরিকা। লস্কর-ই-তৈবাকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সক্রিয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির অন্যতম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুব ভাল লাগে এই দেশ, বলত সেফুল্লো
ইসলামাবাদের তরফে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। আমেরিকা এমন কোনও তালিকা পাকিস্তানকে দিয়েছে কি না, সে বিষয়ে পাক সরকারের তরফ থেকে কোনও বিবৃতি মেলেনি। তবে লস্কর, জইশ এবং হরকত-উল-মুজাহিদিনের মতো ভারত- বিরোধী জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তানকে ফের আমেরিকা চাপ দিয়েছে বলে যে খবর পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রেই বাইরে এসেছে, তা স্বস্তিতে থাকতে পারছে না ইসলামাবাদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy