—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বিমানে উঠেছিলেন নিজের পছন্দের পোশাক পরে। কিন্তু অন্তর্বাস পরেননি। তার ফলে বিমানকর্মীদের হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। এমনটাই অভিযোগ করলেন আমেরিকার এক তরুণী। অভিযোগ, শরীরের সব অংশ ঢাকা থাকা সত্ত্বেও বিমানকর্মীরা তাঁকে অন্তর্বাস পরে আসতে বলেন। এ নিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ তাঁকে হেনস্থাও করা হয়। ওই বিমান সংস্থার মালিকের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন তরুণী। জানিয়েছেন, মালিকের কাছ থেকে এই ব্যবহারের কৈফিয়ৎ চাইবেন তিনি।
আমেরিকার ডেলটা এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ছিলেন অভিযোগকারী তরুণী। তাঁর নাম লিসা আর্চবোল্ড। তিনি জানিয়েছেন, বিমানে ওঠার সময়ে তাঁর পরনে ছিল জিন্স এবং সাদা ঢিলা টি-শার্ট। অন্তর্বাস পরেননি তিনি। সে সময়ে তাঁকে বিমানের এক কর্মী আলাদা করে ডেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যান। তাঁকে বলা হয়, অন্তর্বাস পরে আসতে।
সংবাদমাধ্যমে তরুণী বলেছেন, ‘‘ওঁরা যে ভাবে মেয়েদের দেখতে চান, আমি সে ভাবে ওঁদের সামনে উপস্থিত হইনি। তাই আমাকে আলাদা করে চিহ্নিত করে হেনস্থা, অপমান করা হয়েছে। বিমান থেকে জোর করে নামিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।’’ বিমানকর্মীদের তরফে জানানো হয়েছিল, এই ধরনের পোশাক ‘আপত্তিকর’। তা পরে যাত্রীদের বিমানে উঠতে দেওয়া হয় না। এটাই তাঁদের বিমান সংস্থার নিয়ম। উটা থেকে সান ফ্র্যান্সিসকো যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। তাঁকে টি-শার্টের উপর অন্য একটি জ্যাকেট চাপিয়ে নেওয়ার পরামর্শও দেন বিমানকর্মীরা।
তরুণী বলেন, ‘‘পুরুষ যাত্রীদের টি-শার্টের উপর জ্যাকেট পরতে বাধ্য করা হয় না। অন্তর্বাসও তাঁদের পরতে বলা হয় না। মহিলাদের কেন তা বলা হবে? ডেলটা এয়ারলাইন্সের মাথায় কি তালিবানের কেউ আছেন?’’
সংশ্লিষ্ট সংস্থার মালিকের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন তরুণী। সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, তরুণীর কাছে আগেই এ বিষয়ে তাঁরা দুঃখপ্রকাশ করেছেন। সমাজমাধ্যমেও বিষয়টি চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy