করোনায় মৃত্যুর তথ্য গোপনের অভিযোগ চিনের বিরুদ্ধে। ফাইল চিত্র।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস তিন সপ্তাহ আগেই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। এ বার তাঁর সংস্থার রিপোর্টেও একই অভিযোগ তোলা হল— করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে আসল তথ্য প্রকাশ করছে না চিন! পাশাপাশি, হু-এর ওই রিপোর্টে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সঠিক তথ্য প্রকাশের জন্য আমেরিকার প্রশংসা করা হয়েছে।
ডিসেম্বরের গোড়ায় করোনাভাইরাসের নতুন উপরূপ ওমিক্রন বিএফ.৭-এর কারণে চিন জুড়ে শুরু হয় নয়া সংক্রমণ-পর্ব। সে সময় হু প্রধান টেড্রস বেজিংয়ের কাছে কোভিড সংক্রান্ত কোনও তথ্য গোপন না রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন। চিনে কোভিড সংক্রমণের উৎস সম্পর্কে অনেক তথ্যই এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি বলেও জানান টেড্রস।
প্রসঙ্গত, চিনে অতিমারি-পরিস্থিতি সম্পর্কে খুব সামান্য তথ্যই প্রকাশ্যে এসেছে। উহানে চিনের সরকারি পরীক্ষাগারে নোভেল করোনাভাইরাস তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠলেও বেজিং বরাবরই তা অস্বীকার করে এসেছে। এ সংক্রান্ত তথ্যও তারা প্রকাশ্যে আনেনি বলে অভিযোগ পশ্চিমি দুনিয়ার। হু-এর নয়া রিপোর্টে দাবি, বিশেষত কোভিডে মৃত্যুর যে সংখ্যা একদলীয় চিনের কমিউনিস্ট শাসকেরা জানিয়েছেন, তা অস্বাভাবিক রকমের কম।
হু প্রধানের অভিযোগের জবাবে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং সে সময় বলেছিলেন, ‘‘যে দিন থেকে কোভিড শুরু হয়েছে, সেই দিন থেকে সম্পূর্ণ খোলাখুলি ভাবে স্বচ্ছতার সঙ্গে যাবতীয় সব তথ্য আন্তর্জাতিক সংগঠনকে জানিয়ে আসছে চিন। আমরা আশা করব, বিশ্বে অতিমারি রোধে হু সচিবালয় একটি বিজ্ঞানভিত্তিক, সঠিক ও সদর্থক ভূমিকা পালন করবে।’’ কিন্তু তার পরেও চিনের বিরুদ্ধে তথ্য আড়ালের অভিযোগ ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy