প্রতীকী ছবি।
স্বামী মারা গিয়েছিল বছরখানেক আগেই। শোকে মূহ্যমান স্ত্রী কিছুতেই স্বামীকে ভুলতে পারছেন না। এ ভাবেই দিন কাটছিল বছর চুয়াত্তরের খিমের। এক দিন তিনি নাকি স্বপ্ন দেখেন, মরে গিয়েও তাঁকে ছেড়ে চলে যাননি স্বামী টোল। স্ত্রীকে তিনি নাকি স্বপ্ন দেখিয়েছেন, পুনর্জন্ম নিয়েই তাঁর কাছে ফিরে আসবেন।
আরও পড়ুন: নওয়াজ পদচ্যুত হলে প্রধানমন্ত্রী হবেন ভাই
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে খিম জানিয়েছেন, সেই স্বপ্নাদেশ নাকি সত্যি হয়েছে! কী ভাবে? সেটাও জানিয়েছেন খিম। তিনি জানান, একটি মাধ্যমের সাহায্যে স্বামীকে দেখার চেষ্টা করছিলেন। সে সময় স্বামীর আত্মা তাঁর কানে কানে বলেন ‘আমি তোমার স্বামী’। তার পরই নাকি খিম লক্ষ্য করেন একটি বাছুর তাঁর চুল, গলা চেটে দিচ্ছে। এমনকী চুমুও খেয়েছে! শুনে অবিশ্বাস্য লাগারই কথা। কিন্তু খিম যে এমনটাই দাবি করছেন!
সেই বাছুরকে নিয়ে খিমের পরিবারের সদস্যরা। ছবি: রয়টার্স।
চমকের এখানেই শেষ নয়। খিম আবার জানিয়েছেন, তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস ওই বাছুরই তাঁর স্বামী! এক্কেবারে ঠিক স্বামীর মতোই আচরণ, চলন ওই বাছুরের। হুবহু মিল পাচ্ছেন তাঁর জীবন্ত স্বামী টোলের সঙ্গে। আর সেই বাছুরকে বিয়েও করেছেন খিম। উত্তর-পূর্ব কম্বোডিয়ার ক্রাটি প্রদেশের ঘটনা।
খিমের মতো বাবার মৃত্যু শোকে বিহ্বল ছিলেন ছেলেমেয়েরাও। আশ্চর্যজনক হলেও, খিমের ছেলেমেয়েরাও বিশ্বাস করেন তাঁদের বাবাই ফিরে এসেছেন বাছুরের রূপ নিয়ে! এই ‘বাছুররূপী’ স্বামী খিমের সংসারে যেন আবার খুশির হাওয়া এনে দিয়েছে। গোটা পরিবার তাদের ‘বাবা’র খেয়াল রাখে। আদর যত্ন করে। এক সঙ্গে খাওয়া, ওঠা-বসা সব কিছুই চলে। খিম ও তাঁর ছেলেমেয়েদের দাবি, ওই বাছুর তাঁদের খুব আদর করে। ভাল ‘আচরণ’ করে। আর এটাই নাকি প্রমাণ করে এই বাছুর তাঁদের বাবা টোল খুট ছাড়া আর কেউ নন। ‘বাছুররূপী’ টোলের জন্য তাঁর পুরনো ঘরটাই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার জন্য রয়েছে পছন্দের খাট, বিছানা, চাদর। এমনকী রাতে সেই বাছুরকে সঙ্গে নিয়ে বিছানাতেও ঘুমোচ্ছেন খিম ও তাঁর ছেলেমেয়েরা।
খিম তাঁর ছেলেমেয়েদের পরামর্শ দিয়েছেন, তাঁর মৃত্যুর পরেও যেন ‘বাবা’কে অবহেলা না করে। তাঁর যেন আদর-যত্নে কোনও খামতি না হয়। এই ‘বাছুররূপী’ টোল-ই এখন খিমের গ্রামের ‘হিরো’ হয়ে উঠেছে। দূর দূর থেকে তাকে দেখতে লোক আসছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy