আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং। ফাইল ছবি।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে চিনা প্রেসিডেন্টকে বিঁধেছিলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বলেছিলেন, “জিনপিংয়ের সঙ্গে বিশ্বের কোনও শীর্ষ নেতা ব্যবসা করার ভাববেন? আমি তো কারও কথা ভাবতে পারছি না।” জিনপিংকে সমস্যা বলেও উল্লেখ করেছিলেন। বাইডেনের সেই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে চিন।
আজ বাইডেনকে নিশানা করে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং জানিয়েছেন, বেজিং এ ধরনের মন্তব্যে ভীষণ অসন্তুষ্ট। নিং বলেছেন, “আমেরিকার তরফে এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য কূটনৈতিক শিষ্টাচার বিরোধী।” গত মঙ্গলবার তাঁর বক্তৃতায় চিনকে সতর্ক করে বাইডেন জানিয়েছিলেন, সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে বেজিংয়ের হুমকি প্রতিহত করবে ওয়াশিংটন।
প্রসঙ্গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পরে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক শোধরানোর বার্তা দেন বাইডেন। গত বছর বালিতে গিয়েও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে সেই একই বার্তা দেন তিনি। সেই বাইডেনই সম্প্রতি বেলুন কাণ্ডের পরে জানিয়েছেন, চিনের তরফ থেকে এই ধরনের আচরণ প্রত্যাশিত। তিনি আরও বলেন, ‘‘এখানে চিনকে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রশ্ন নেই। প্রশ্ন হল আমরা একসঙ্গে কাজ করব নাকি প্রতিযোগী হিসেবে।’’ চিনের সঙ্গে আমেরিকা কাজ করার ক্ষেত্রে আন্তরিক। দেশ ও বিশ্বের স্বার্থে। কিন্তু চিন যদি আমেরিকার সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে ওঠে, তা হলে যথাযথ ভাবে তা প্রতিরোধ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বাইডেন।
এ দিকে আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, শুধু আমেরিকা নয়, ভারত জাপান, তাইওয়ানের উপরেও নজরদারি ও তথ্য চুরির জন্য বেলুন পাঠিয়েছে চিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy