Nostalgic Durga Puja commercials

দুগ্গাপুজোর স্মৃতিমাখা পাঁচ বিজ্ঞাপন, আজও উস্কে দেয় নস্টালজিয়া

এক একটি সংস্থা নিজেদের সৃজনশক্তি ঢেলে তৈরি করে বিজ্ঞাপন। পুজোর একাধিক বিজ্ঞাপন আজ কালোত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে, মিশে গিয়েছে বাংলা ও বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের সঙ্গে।

Advertisement
সৌভিক রায়
শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:১২
Share:
০১ ১০

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। শারদোৎসব বাংলার অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তিও বটে। পুজোর চারটে দিন উপলক্ষে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা-বাণিজ্য হয়। একাধিক সংস্থা তৈরি করে বিজ্ঞাপনী ছবি। শারদীয় প্রচারের জন্য তৈরি সেই শত শত বিজ্ঞাপনী ছবির মধ্যে এমন কয়েকটি রয়েছে, যা নিছক বিজ্ঞাপনের পরিচয় পেরিয়ে হয়ে উঠেছে দুর্গাপুজোর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কাহিনির জোরে আজও সে সব ছবি উসকে দেয় পুজোর নস্টালজিয়া।

০২ ১০

এই প্রাণ ঢালা উৎসবে বারবার/ আলো আশা ভালবাসা মিশে একাকার: ১৯৪১ সালে পথচলা শুরু করেছিল শালিমার। প্রকৃতিনাথ ভট্টাচার্যের সংস্থার বিজ্ঞাপনী জিঙ্গল আজ হয়ে উঠেছে বাঙালির পুজো আবেগ।

Advertisement
০৩ ১০

সেই শারদ-বিজ্ঞাপন, ‘এই প্রাণ ঢালা উৎসবে বার বার/ আলো আশা ভালবাসা মিশে একাকার...’-র সুর আজও বাঙালি বাড়িতে বয়ে আনে পুজোর আবেগ। বাড়ির পুজোর আয়োজন, বনেদিবাড়ির ঠাকুর দালান, আল্পনা থেকে অঞ্জলি, পরিপূর্ণ সংসার, একান্নবর্তী পরিবারের ছবি বেঁধে থাকার স্মৃতিকে উসকে দেয়।

০৪ ১০

এ বার জমবে মজা: ২০০৯ সালে জনপ্রিয় ঠান্ডা পানীয় সংস্থা ‘থামস আপ’ হাজির হয় এক হৃদয় নিংড়ে দেওয়া বিজ্ঞাপনী ছবি নিয়ে। পাড়ার বনেদিবাড়ির পুজো বন্ধ হতে বসেছে। মন খারাপ পাড়ার তরুণ-তরুণীদের। যে পুজোয় এত কাল তারা আনন্দ করত, তা বন্ধ হয়ে যাবে? কোমর বেঁধে নেমে পড়ে নবীনেরা। তাদের উদ্যোগেই পুজো হয় শেষমেষ।

০৫ ১০

কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় আলাদা মাত্রা যোগ করেছিল ছবিতে। ভেঙে পড়া সময়ে ফেলে আসা আনন্দের স্মৃতিকে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা মনে করায় এই বিজ্ঞাপনী ছবি।

০৬ ১০

সুজয়দা-পুচকি: প্রেম ছাড়া কি পুজো সম্পূর্ণ হয়? দু-চারটে খুচরো প্রেম দুর্গাপুজোর সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে মিশে থাকে। বন্ধুর বাড়ির পুজোয় বন্ধুর ছোটবোনের সঙ্গে প্রেম। ২০১৮ সালে ‘প্যান্টালুন্স’-এর এই বিজ্ঞাপন রীতিমতো সমাজমাধ্যমের দেওয়ালে দেওয়ালে ভাইরাল হয়ে পড়েছিল।

০৭ ১০

আজও পুজোর সময়ে এই প্রেমের গপ্পে জিয়া নস্টালে ডুব দেয় বাঙালি। উপরি পাওনা অনুপম রায়ের কণ্ঠে, ‘কে তোমার ভালবাসায়, খুব তোমায় কাছে পাওয়ার গান গায়...’।

০৮ ১০

এ বারের পুজো আমাদের সাথে কাটাবে?: ২০২২ সালে ‘স্মার্ট বাজার’-এর বিজ্ঞাপনী ছবিতে উঠে এসেছিল এক সামাজিক বার্তা– পুজো সব্বার। কোনও ভেদ নেই, কোনও দ্বেষ নেই। বেশ্যালয়ের মাটি ছাড়া দুর্গা প্রতিমা গড়া যায় না। কিন্তু যাঁদের বাড়ির উঠোনের মাটি ছাড়া মৃন্ময়ী রূপ পান না, তাঁরা কি পুজোয় সামিল হন? ঠাকুর দেখতে বেরোন? সে প্রশ্নই উসকে দিয়েছিল এই বিজ্ঞাপনটি।

০৯ ১০

ইচ্ছা থাকলে উপায় কই বলো?: ইচ্ছে থাকলে উপায় যে হয়, তা প্রমাণ করে দিয়েছিল ২০২৩ সালের ‘রিলায়েন্স ডিজিটাল’-এর পুজোর বিজ্ঞাপনী ছবি। শহরে মণ্ডপ গড়ে গাঁয়ে ফিরে যান কানাইদাদের মতো অনেকে।

১০ ১০

পুজোর দিনে ঝলমলে আলোয় নিজেদের হাতে গড়া মণ্ডপ দেখার সৌভাগ্য হয় না তাঁদের। হয়তো মনের কোনও গহীন কোণে জমে থাকে আক্ষেপ। সেই আক্ষেপ মেটানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় পাড়ার তরুণ তুর্কীরা। নতুন স্মার্ট ফোনে ভিডিও কলের দৌলতে কানাইদারা সপরিবারে দেখেন তাঁদের হাতে গড়া মণ্ডপ। এ ভাবে দুর্গাপুজো হয়ে ওঠে সর্বজনের উৎসব। তবেই তো পুজোর সার্থকতা। সে ভাবনা নতুন করে আলোড়িত করেছিল এই বিজ্ঞাপন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement