১। ‘বহুদিন ধরে ফেরা হয়নি ঘরে, আমি দূর প্রবাসে পড়ে রই…’ উৎসবের মরসুমে বিশেষ করে দুর্গাপুজোর সময়ে ঘরে ফেরার এই টান এক মাত্র প্রবাসী বাঙালিরা ছাড়া আর কে বুঝবে! প্রবাসে শরতের আকাশে পেঁজা তুলোর তো মেঘ উঁকি দিলে আগমনীর সুর কিন্তু শোনা যায় সেখানেও। কিন্তু তার কাছে কলকাতার আমেজ কি আর ফিকে হয়?
২। তবুও, সুদূর ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন হাউজ়ের তিন দিন ব্যাপী পুজোয় যেন এক টুকরো কলকাতাকেই গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয় সেখানে।
৩। ‘পূর্বা’র দ্বারা আয়োজিত এই দুর্গাপুজো যেন সেখানে উপস্থিত প্রতিটা প্রবাসী বাঙালি এবং অবাঙালিদের ঘরে পুজো।
৪। প্যান্ডেলসজ্জা থেকে শুরু করে প্রতিমার সাজসজ্জা, পুজোর ভোগের আয়োজন- সবটাই দায়িত্ব নিয়ে সামলান তাঁরা। বলা যায়, এই পুজোয় কেউই নিছক ‘দর্শক’ নন, বরং সবাই অংশগ্রহণকারী।
৫। ক্যালিফোর্নিয়ার এই পুজোর বয়স মাত্র ৪ বছর। তবে এই ক’বছরেই প্রতিটি প্রবাসী বাঙালি, অবাঙালিদের এক করেছে এটি। এমনকী বহু আমেরিকাবাসীও রয়েছেন, যাঁরা একই নিষ্ঠার সঙ্গে মেতে ওঠেন দুর্গোৎসবে।
৬। এই বারের পুজোর মূল আকর্ষণ হল সাত সমুদ্র পেরিয়ে সুদূর কুমোরটুলি থেকে আসা নতুন প্রতিমা।
৭। এ ছাড়াও এখানকার আলোকসজ্জা থেকেও যেন চোখ ফেরানো দায়। প্রবাসে থেকে নিজের শহর কলকাতার কথা মনে পড়ছে? বছরের এই সময়ে মাউন্টেন হাউজ়ের এই পুজোর আলোকসজ্জা দেখলে মনে হবে এ যেন এক টুকরো কলকাতাই।
৮। পুজো হবে, আর পেটপুজো হবে না, তা কী ভাবে হয়! পূর্বার এই উৎসব প্রাঙ্গনের যে দিনে দু’চোখ যাবে, সে দিকেই নানা স্বাদের খাবারের দোকান।
৯। এ ছাড়া হাতে তৈরি নাড়ু থেকে শুরু করে পুজোর ভোগ, সবই থাকে তালিকায়।
১০। পূর্বার পেসিডেন্ট প্রিয়াঞ্জলি আইচ পুজো প্রসঙ্গে বলেন, “এই দুর্গাপুজো শুধু আমাদের আনন্দের আয়োজন নয়, বরং এই পুজোর মাধ্যমে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা, যারা এই প্রবাসে জন্মেছে, বড় হচ্ছে, তাদের কাছে আমাদের শিকড়ের প্রকৃত মূল্যবোধকে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।” (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ। )