Celebrity Puja Celebration

পুজোর মুখে দোসর বৃষ্টি, মন খারাপ নিয়েই শ্যুটিং সারছেন মোহনা, পুজোর পরিকল্পনা কত দূর?

বানভাসি কলকাতা। দুর্যোগের দিনেও দাসানি-১ স্টুডিয়ো থেকে ‘লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন’-এর শব্দ আসছে। শ্যুটিং চলছে ধারাবাহিক ‘তুই আমার হিরো’র। সেটে আসতে এ দিন কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি পর্দার ‘আরশি’ অর্থাৎ মোহনা মাইতিকে।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:৩৩
Share:

প্রতীকী চিত্র

রাতভর বৃষ্টিতে বানভাসি কলকাতা। দুর্গাপুজোর ঠিক আগেভাগেই এমন স্তব্ধ জীবনযাপনের দৃশ্য দেখার জন্য যেন মোটেই প্রস্তুত ছিল না শহরবাসী। তবে সত্যিই কি সব ‘স্তব্ধ’? এমন দুর্যোগের দিনেও দাসানি-১ স্টুডিয়ো থেকে ‘লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন’-এর শব্দ আসছে। শ্যুটিং চলছে ধারাবাহিক ‘তুই আমার হিরো’র। সেটে আসতে এ দিন কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি পর্দার ‘আরশি’ অর্থাৎ মোহনা মাইতিকে।

Advertisement

শ্যুটিংয়ের ফাঁকেই আনন্দবাজার ডট কমকে অভিনেত্রী বলেন, “খুব খারাপ পরিস্থিতি। পুজোর উপর অনেকের জীবিকা নির্ভর করে। সব থেকে বেশি দুঃখ তো বোধহয় মৃৎশিল্পীরা পাচ্ছেন। কুমোরটুলির পরিস্থিতি খুবই খারাপ।”

পুজোর মুখে এমন জলমগ্ন কলকাতা। নায়িকা বলেন, “খুব সমস্যা হচ্ছে কাজ করতে। আমরা শিল্পীরা, সমস্ত কলাকুশলীরা এই পরিস্থিতিতেই কাজ করে চলেছি। ব্যাংকিংয়ের জন্যও আগেভাগে কাজ গোছাতে হচ্ছে। অথচ শ্যুটিং শুরু হতে আজ অনেকটা দেরি হয়েছে।”

Advertisement

যদিও এই সবের মধ্যেই হাল ছাড়েননি মোহনা। তাঁর সহজ জবাব, “মা আসছেন। সব ঠিক করে দেবেন।”

একটু মন খারাপ নিয়েও নায়িকার পুজোর পরিকল্পনা কত দূর এগোল? খানিক সংশোধন করে মোহনা বলেন, “একটু না, অনেকটাই মন খারাপ। এত কষ্ট করে মণ্ডপসজ্জা গড়ে তোলা হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টিতে সবটাই পণ্ড। ভিডিয়োতে দেখছি বিভিন্ন জায়গায় জলে ভাসছে পুজোর প্যান্ডেল। বছরের এই ক’টা দিনের জন্যেই সারা বছরের অপেক্ষা। সেটা যদি এই ভাবে নষ্ট হয়ে যায়, তা হলে এর থেকে বড় দুঃখ আর কিছু নেই।”

তিনি যোগ করেন, “আশা করব যেন বৃষ্টিটা থামে। অনেক মজা করে পুজোটা কাটাতে পারি। অনেক কিছু ভেবে রেখেছি। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে এ দিক-ও দিক ঘুরতে যাব। পাড়ার পুজোয় আড্ডা দেব। ভাবনাগুলি যেন সফল হয়।”

এ বছর দেবীর থেকে কি এটাই কামনা? মোহনা বলেন, “এক দিকে পহেলগাঁও কাণ্ডের মতো ঘটনা, অন্য দিকে বিমান দুর্ঘটনা, তার পর পুজোর সময়ে এত বৃষ্টি। ২০২৫ সালে যেন দুর্যোগের পর দুর্যোগ। মা সব কিছু যেন ঠিক করে দেন। সামনের বছরটা যেন শুরু থেকে শেষ, ভাল করে কাটাতে পারি।”

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement