প্রতীকী চিত্র
পুজোর মাসেও নিজের শহরে নেই তিনি। অভিনেত্রীর ঠিকানা বর্তমানে মুম্বই। যদিও কর্মসূত্রে এর আগেও মায়ানগরীতে থেকেছেন। কিন্তু পুজোর মরসুমে কলকাতার বাইরে কাটানোর অভিজ্ঞতা এটাই প্রথম অভিনেত্রী মিশমি দাসের কাছে। একটু হলেও কি মন খারাপ লাগছে?
আনন্দবাজার ডট কমকে অভিনেত্রী বলেন, “পুজো আসছে-পুজো আসছে, এই অনুভূতিটা খুব মনে পড়ছে। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারছি ওরা কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছে, ঘুরতে যাচ্ছে। মুম্বইতে থেকে পুজোর এই অনুভূতিটাই ঠিক আসছে না।” মায়ানগরীতে কতটা ব্যস্ততায় কাটছে তাঁর সময়? তিনি বলেন, “যে কাজটা ভেবে এই শহরে এসেছিলাম, শেষ মুহূর্তে ওই কাজটা আর বাস্তবায়িত হয়নি। শুরুর দিকটা একটু চাপের মধ্য দিয়েই গিয়েছে। এখন ধীরে ধীরে গুছিয়ে নিচ্ছি সব। এখানের পুজোই দেখব এই বছর।”
কলকাতার পুজো না মুম্বইয়ের পুজো, কাকে এগিয়ে রাখবেন মিশমি? নায়িকার সহজ জবাব, “অবশ্যই কলকাতা। এর দুর্গাপুজোর আমেজের সামনে অন্য যে কোনও জায়গার পুজোর আমেজ ফিকে।”
শহরের বাইরে গিয়ে মনের মানুষের হদিস পেয়েছেন মিশমি। কলকাতায় না থাকলেও প্রেমিক সুজন সেনগুপ্তের সঙ্গে চলতি বছরের পুজোটা একটু বেশিই বিশেষ কি অভিনেত্রীর কাছে? খানিক আক্ষেপ নিয়েই তিনি বলেন, “পুজোটা যদি কলকাতায় এক সঙ্গে কাটাতে পারতাম, তা হলে আরও ভাল লাগত।” সুজন নিজেও কলকাতার ছেলে। তবে কর্মসূত্রে মুম্বই নিবাসী। অভিনেত্রী জানান, দু’জনেরই ইচ্ছে আছে আসন্ন ডিসেম্বরে এক সঙ্গে কলকাতায় আসার।
প্রেমিকের সঙ্গে আপাতত পুজোর পরিকল্পনা কী নায়িকার? প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, “সেই অর্থে তো ছুটিই পাব না কেউ। তবে সুযোগ পেলে অবশ্যই এক সঙ্গে ঠাকুর দেখব। এখানে বাঙালি বন্ধুও রয়েছে।”
কর্মসূত্রে শহর ছাড়লেও কলকাতা, আর ছোটবেলা- কাউকেই ভুলে যাননি মিশমি। তিনি বলেন, “পুজোর সময়ে হাওড়ায় আমার মামার বাড়ি যেতাম। পাঁচটা দিন প্রায় সেখানেই কাটত। সেই সময়ে নাচ, গানের নানা অনুষ্ঠান বসত। আমিও অংশগ্রহণ করেছি বেশ কয়েক বার।”
কী চাইবেন এই বছর দেবীর থেকে? “আমার পরিবারকে যেন আগলে রাখতে পারি। আমার কাছের মানুষেরা ভাল থাকুক। আর সারা জীবন কাজটা হাতে থাকুক”, এটাই চাওয়া অভিনেত্রীর।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।