Ananda Utsav 2019

কাটোয়ার বাড়িতে দু’দিন কাজহীন পুজো কাটাব: শ্রুতি দাস

কাজের যা চাপ একেবারেই বাড়ি ফেরার সময় পাই না। এই সুযোগ।

Advertisement

শ্রুতি দাস

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:৩১
Share:

শ্রুতি দাস

এ বছরের পুজো প্ল্যানিং যে খুব ঠিক হয়ে আছে তেমন নয়। আমি তো নতুন কাজ শুরু করেছি। ‘ত্রিনয়নী’ আমার প্রথম সিরিয়াল। শুধু প্রথম সিরিয়াল নয়, অডিয়ো ভিজুয়ালে প্রফেশনালি এটাই আমার প্রথম কাজ। কাজটা তো মন দিয়ে করতেই হচ্ছে। তার ওপর পুজোর সময় আমার অনেক শো রয়েছে। মাত্র দুটো দিন নিজের জন্য সময় পেয়েছি। মানে শুধু সপ্তমী আর অষ্টমী। ওই দু’দিন নিজের মতো কাটাতে পারব। বর্ধমানের কাটোয়ায় আমার বাড়ি। দু’দিনের জন্য আমি কাটোয়া চলে যাব। কাজহীন দু’দিন ওখানেই থাকব। নিজের বাড়িতে, নিজের পাড়ায়, বাড়ির লোকজন আর বন্ধুবান্ধবের সঙ্গেই কাটাব। তবে দশমীতে কলকাতায় কাটানোর ইচ্ছে আছে। দেখা যাক হয় কি না।

Advertisement

বাড়ি যেতে আমার সবসময় ইচ্ছে করে। কিন্তু কাজের যা চাপ একেবারেই বাড়ি ফেরার সময় পাই না। এই সুযোগ। শুধু আড্ডা, খাওয়া আর টো টো ঘুরে বেড়ানো। আগে আমি ফেসবুকে আমার গানের ভিডিও আপলোড করতাম। এখন তো নানা রকম রেসট্রিকশনের ভেতর থাকতে হয়, সময়ও পাই না। সব মিলিয়ে গান আর আপলোড করা হয় না। আড্ডায় আমাকে বন্ধুরা ছাড়বে না। ওদের অনুরোধ উপেক্ষাও করতে পারব না। দু’দিন ধরে আড্ডায় বসলেই গান গাইতে হবে। নাচও আমার প্যাশন। কিন্তু নাচ করার সময় একেবারেই পাই না। এমন হতেই পারে যে আমাদের পুজোর ফাংশনে আমাকে নাচতে হল। দেখি ওরা কী প্ল্যানিং করে রেখেছে। দুটো মাত্র দিনে কাটোয়া গিয়ে কী করব আর কী করব না বুঝে উঠতেই পারছি না। ছুটিটাও হয়ে যাচ্ছে আমার শুটিংয়ের টাইট শিডিউলের মতোই।

কাটোয়ায় আমার পাড়ার পুজোর ক্লাব কমিটিতে আমার বাবা আর বাবার বন্ধুরাই আছেন। ওঁরাই পুজোর সব আয়োজন করেন। বাবার বন্ধুর মেয়েরা পুজো প্যান্ডেলে থাকবে। আমিও ওদের সঙ্গে দুটো দিন থাকতে পারব। আড্ডা হবে। আর পাড়ার অন্য বন্ধুরা তো আছেই। তাদের সঙ্গেও আড্ডা হবে। আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গেও কাটাব।

Advertisement

আরও পড়ুন:পুজোয় ওই আমার ‘কৃষ্ণকলি’, ওর জন্য কী কিনেছি জানেন?: নীল​

আমার দাদা বেঙ্গালুরুতে থাকে। পুজোতে ফিরবে। আমার মাসির ছেলে। কিন্তু দাদা বলতে ওকেই বেশি মানি। ও আসবে নবমীতে। নবমী ওর সঙ্গেই কাটাব। কিছু কাজও থাকবে ওই দিন।

সাজের বিষয়ে আগে থেকে কিছু প্ল্যানিং নেই। ম্যাচ করতে করতে যেটার সঙ্গে যা ভাল লাগবে পরে ফেলব। আমি ইন্দো ওয়েস্টার্ন কস্টিউম বেশি পছন্দ করি। তবে অষ্টমী আর দশমী ট্র্যাডিশনাল পোশাক পরার ইচ্ছে আছে। আর বাকি দিনগুলো অবশ্যই ইন্দো ওয়েস্টার্ন লুকে নিজেকে সাজাব ভেবেছি। আই লাভ স্মোকি আইজ অ্যান্ড রেড লিপস। যদিও শুট ছাড়া স্মোকি আই ট্রাই করিনি। বাট আই শুড ট্রাই। আর এখন খুব ন্যুড আই ফ্যাশনে ইন। আমার মা বলে ন্যুড আই করলে আমাকে বেশি ভাল লাগে। ন্যুড আই নিশ্চয় করব। ন্যুড আই-এর সঙ্গে ডার্ক লিপস মাস্ট।

আরও পড়ুন:পুজোয় আর ডাকাতি নয়, বরং শান্তিনিকেতনে দেখা পেতে পারেন ‘দেবী চৌধুরানী’-র​

পুজোর সময় জাস্ট চুটিয়ে খাব। তখন তো নো ডায়েট ডেজ। এমন নয় যে বাকি সময় আমি খুব ডায়েট করি। ওই আরকি, সামান্য মেন্টেন করার চেষ্টা করি। পুজোয় যে বাড়িতেই যাব না খাইয়ে ছাড়বে না। অন্তত মিষ্টি, নিমকি বা নারকেল নাড়ু খেতেই হবে। আর মা তো নানা রকম রান্না করবেই। আত্মীয় বন্ধুদের বাড়িতেও নিমন্ত্রণ পাওয়ার সম্ভাবনা। ঘুরতে বেরলেও এটা সেটা খাওয়া হয়েই যাবে।

আর পুজোয় প্রেম? শুধু পুজো বলে তো নয়, পথ চলতে গেলে প্রেম আসেই। এসেছেও। কিন্তু আগে পরিণতি পাক। তারপর রিভিল করব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন