সংগৃহিত চিত্র
প্রতিবছরই বিরাট করে উদ্যাপন। তবে অন্য বছরের তুলনায় এই বছরের ছবিটা কিছুটা আলাদা অভিনেত্রী রণিতা দাসের কাছে। বছরের শুরুতেই দিদাকে হারিয়েছেন। তাই এ বারের গণেশ পুজোটাও জৌলুসহীন তাঁর কাছে।
চলতি বছর ১২ বছরে পা দিচ্ছে রণিতার বাড়ির পুজো। প্রতি বছরের মতো জাঁকজমক না হলেও এ বারেও আয়োজনে কিন্তু কমতি নেই অভিনেত্রীর। কতদূর এগোল বাড়ির পুজোর প্রস্তুতি? আনন্দবাজার ডট কমকে রণিতা বললেন, “যেহেতু আমার দিদা মারা গিয়েছেন এ বছর তাই শেষ মুহুর্তে সবকিছু শুরু হয়েছে। দিদা আমাদের সঙ্গেই থাকতেন। প্রতিবার বিশাল বড় করে যে পুজোটা হয়, সেটা হচ্ছে না। তবে পুজোর সবকিছুই হচ্ছে। খালি দিদা নেই বলে সেটা আকারে ছোট।”
এ বার ২৬ অগস্ট, দুপুর ১টা ৫৪ মিনিটে শুরু হয়ে শুক্লপক্ষের চতুর্থী থাকছে পরের দিন অর্থাৎ ২৭ অগস্ট দুপুর ৩টে ৪৪ মিনিট পর্যন্ত। রণিতার বাড়ির পুজো আগামী ২৬ অগস্ট। অভিনেত্রী জানান, ইতিমধ্যেই বাড়িতে চলে এসেছেন গণপতি। পোলাও-আলুরদম থেকে শুরু করে লুচি-পায়েস, এই সবকিছু দিয়েই ভোগ পরিবেশন করা হবে আদরের ‘গোণু’কে। এ ছাড়াও থাকবে, সুজি, পাঁচ রকমের ভাজা, পনির, চাটনি। জানেন কি, এই সমস্ত পদ নিজের হাতেই রান্না করে থাকেন রণিতা? অভিনেত্রী বলেন, “পুজোর আয়োজন সবটাই আমি করি। ঠাকুরের ভোগও রাঁধি নিজের হাতে। এই দায়িত্বটা কারও হাতে দিই না।” মজা করে বলেন, “আমি এই দিন আমার গোণুকে ছাড়া কাউকে দেখি না।” একটু হেসে যোগ করলেন, “পুজো শেষ হয়ে গেলে বাকি যাদের যা দরকার, তখন সেই দিকে নজর দিই।”
প্রতি বছর কী চাওয়া হয় গণপতি বাপ্পার থেকে? অভিনেত্রীর কথায়, “আগে যখন বুঝতাম না এ সব কিছু, তখন অনেক কিছুই চেয়ে বসতাম। এখন দেখি নিজে যা চাইছি সেটা ঠিক কি না। হয়তো দিয়ে দিল, তারপর দেখলাম সামলাতেই পারছি না।”
রণিতার কথায়, “আমি তো কোনও দিন ভাবিইনি যে অভিনেত্রী হব। নাচ নিয়েই থাকতাম সারা ক্ষণ। বাপ্পার ইচ্ছেতেই অভিনেত্রী হয়েছি। তিনি ভবিষ্যতে আমাকে কোথায় নিয়ে যাবেন, সেটাও তাঁরই ইচ্ছে। তাই এখন আর বেশি কিছু চাওয়া নেই। খালি বলি, ‘সঙ্গে থেকো’। ওঁর আশীর্বাদের থেকে বড় আর কী হতে পারে!”
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।