Kalpan Mitra's Puja Plan

বিয়ের পর প্রথম পুজো ‘তোপসে’র! কী কী পরিকল্পনা করলেন কল্পন?

বিয়ের পর এটাই প্রথম পুজো। দেবীর থেকে কী চাইবেন কল্পন?

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:২০
Share:

সংগৃহিত চিত্র

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ‘তোপসে’। অর্থাৎ কল্পন মিত্র। বিয়ের পর এটাই তাঁদের প্রথম পুজো। বলাই বাহুল্য এ বারের পুজো একটু হলেও ‘বিশেষ’। কী কী পরিকল্পনা করলেন, কেনাকাটাই বা কত দূর শৈলশহর থেকে ফেরার পথে আনন্দবাজার ডট কমের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অভিনেতা।

Advertisement

বিয়ের পর প্রথম পুজো। কী কী পরিকল্পনা রয়েছে জানতে চাইলে কল্পন বলেন, “প্রথম দু’দিন মানে পঞ্চমী-ষষ্ঠী কলকাতাতেই থাকার পরিকল্পনা। হয়তো সপ্তমীও তাই থাকব। তবে অষ্টমী, নবমী, দশমী দেশের বাড়ি চলে যাব। ওখানে আমাদের পুজো হয়। প্রত্যেক দু’বছর অন্তর আমাদের পালা পড়ে। গত বছরই আমাদের পালা ছিল। এই পুজোর সময়টাতেই সবাই আসেন, ঠাকুমা, জেঠু, জেঠিমা, পিসিরা। ওখানেই যাব এ বারও।” কল্পন জানালেন তাঁদের বাড়িতে দেবীর মূর্তি পুজো হয় না, বরং পূজিত হয় ঘট। তিনি বলেন, “মন্দির রয়েছে, সেখানে ঘট পুজো হয়।”

একে বিয়ের পর প্রথম পুজো, তায় আবার বাড়িতেই দেবীর আরাধনা হয়। তা হলে নিশ্চয় এত দিনে কেনাকাটা হয়েই গিয়েছে? ‘ফেলুদা’র সহচর বলেন, “পুজোর কেনাকাটা এখনও ঠিক হয়নি। কিন্তু এমনই কেনাকাটা প্রায় গোটা বছর ধরেই হতে থাকে। যখন যেটা ভাল লাগে কিনে রাখি। তবে পুজোর কেনাকাটা এ বার ফিরে গিয়ে হবে।”

Advertisement

বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুজোর আমেজ বদলাতে থাকে। ব্যস্ততা বাড়ে, বাড়ে দায়িত্ব-ও। কিন্তু ছোটবেলার পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে নিখাদ আনন্দ আর মজা। কল্পনের কাছে এই ছোটবেলার পুজো বললেই কী মনে পড়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “পুজোয় ছোটবেলায় কলকাতায় যত বার থেকেছি, তত বারই বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধবদের বাড়ি গিয়ে পুজোয় মজা করা, আনন্দ করা হয়েছে। স্কুলের বন্ধুরা যখন ছিল এখানে, তখন ওদের সঙ্গে মাঝে মধ্যে ঠাকুর দেখতে বেরোতাম। এখন তারা বেশির ভাগই সব বাইরে থাকে। সব সময় যে তারা আসতে পারে, সেটা নয়। তাই ঠাকুর দেখতে বেরোনো আমার খুব একটা হয় না। আর তা ছাড়া চিরকালই পুজোর সময় দেশের বাড়ি চলে যাওয়ার একটা রীতি থেকেছে, যেহেতু দুই বছর অন্তর আমাদের পালা পড়ে। ছোটবেলার পুজো বলতে এটাই, আর সঙ্গে স্কুলের বন্ধুরা ছিল।” এখন কি তবে বন্ধুরা এই সময় দেশে ফিরলে আড্ডা জমে? ঠাকুর দেখা হয়? অভিনেতা বলেন, “অনেকেই এই সময় ফেরে, অনেকেই ফিরতে পারে না। যারা ফেরে তাদের বাড়ি গিয়ে আড্ডা হয় বা কিছু। কিন্তু পুজো দেখতে বেরোনো খুব একটা হয় না।”

ঠাকুর দেখা হয় না যখন, তবে কি পুজোর প্রেমটাও হয়নি কখনই? অভিনেতার কথায়, “ওটা হয়নি কখনও। আর এখন তো বিবাহিত, ফলে কোনও প্রশ্নই নেই।” বলেই হেসে ফেলেন তিনি।

বিয়ের পর প্রথম পুজোয় তাঁর দেবীর থেকে একটাই জিনিস চাওয়ার, যাতে, “সবাই আনন্দে, ভালবেসে একে অন্যের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে। আগামী দিনগুলি যেন ভাল যায়।”

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement