শ্রেয়শ্রী রায়।
‘ইটস ম্যাজিক, ইটস ম্যাজিক।’ যেখানেই তিনি যাচ্ছেন, সেখানে সব্বাই এই কথাই বলছেন।
কোনও জাদুর ছোঁওয়া থাকবে তাঁর গাউনে, নাকি শাড়িতে!
উঁহু সিরিয়ালের শাড়ি কিংবা গাউন-এর একটাও তিনি পরতে চান না। রোজ রোজ শাড়ি ভাল লাগে নাকি। শুধু উদ্বোধনের দিন একমাত্র তাঁকে ভানুমতীর বেশে দেখা যেতে পারে।
অন্যদিন তাঁকে দেখলে মোটেও চিনতে পারবেন না। ভানুমতী থুড়ি অভিনেত্রী শ্রেয়শ্রী রায়কে।
ভানুমতীর চরিত্রে শ্রেয়শ্রী।
দিনরাত সিরিয়াল আর তারই মধ্যে শপিং সেরে ফেলা। দিব্যি রয়েছেন বছর উনিশের এই মেয়ে। ব্যস্ত সময়ের মাঝেই কখনও অনলাইন, কখনও বা টেলরিং শপ, কখনও বা পছন্দের কোনও বুটিক থেকে ইচ্ছামতো পোশাক নির্বাচন তো করেই ফেলেছে সে। ভানুমতী কী পরতে পারে পুজোয়?
‘ওরে বাবা শাড়ি এক্কেবারে পরব না। ট্রাডিশনাল যদি বল, তাহলে ধোতি প্যান্টের সঙ্গে ক্রপ টপের ফিউশন পরতে পারি অষ্টমীতে। কিন্তু টিপিক্যাল শাড়ি মোটেও পরব না’, শটের মাঝে আনন্দবাজার ডিজিটালকে এমনটাই বললেন তিনি।
আর অন্য দিন?
শ্রেয়শ্রীর কথায়, ‘‘একগাদা ক্রপ টপ কিনেছি। স্লিম ফিট জিন্সও রয়েছে। ভানুমতীর বেশে একেবারেই নয়।’’
পুজোর উদ্বোধনে কী পরছেন?
চতুর্থীর দিন একটা উদ্বোধন রয়েছে, তবে ‘‘ডিরেক্ট শুটে যাব, তাই সেখানে থাকব আপনাদের প্রিয় ভানুমতীর বেশেই।’’
‘‘আসলে ফ্যাশন শব্দটাতেই এক্কেবারে বিশ্বাস করিনা, পুরোপুরি নিজস্ব স্টাইলে বিশ্বাসী আমি। পুজোর বাজারে কী এল, গেল, কিচ্ছু যায় আসে না, আমি যা ক্যারি করতে পারব, তা-ই আমার স্টাইল’’, মাথা নেড়ে স্পষ্ট জানাল শ্রেয়শ্রী।
আর পুজোয় স্পেশাল কাদের সঙ্গে প্যান্ডেল হপিং করতে যাবে শ্রেয়শ্রী, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন, ‘‘দু’দিনই এক জনের সঙ্গে বেরোব। এমনটাই প্ল্যান রয়েছে।’’ কিন্তু সেই স্পেশাল মানুষটি কে, তার উত্তরে শ্রেয়শ্রী বললেন, ‘‘কমলা গার্লসের বেস্ট ফ্রেন্ড। অষ্টমী আর পঞ্চমী দু’দিনই ওর সঙ্গেই প্ল্যান রয়েছে বেরোনোর। ছোট্টবেলার বন্ধু।’’