দুর্গাপুজোতে সকলের মতো ধুতি-পাঞ্জাবি, বা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরতে ইচ্ছে করছে না? এমনকী কুর্তার সঙ্গে জিন্সও না? কোনও ব্যাপার নয়, এই পুজোয় রণজয় বিষ্ণুর মতোই সেমি ফরম্যাল লুকে তাক লাগান।
পুজোর কোনও এক দিন সকালে নীল চেক হাফ হাতা শার্টের সঙ্গে সাদা প্যান্ট পরতে পারেন। আজকালকার ভাষায় ‘কুল’ দেখাবে। সঙ্গে পায়ে পরুন সাদা স্নিকার।
এই লুক যে কেবল সকালে ঠাকুর দেখানোর জন্য আদর্শ লুক সেটাই নয়, এটি একই সঙ্গে অফিস যাওয়ার জন্যও পুজোর সময় আদর্শ লুক হতে পারে। এই সময় অনেকেরই অফিস থাকে, পুজোর মেজাজে ফরম্যাল লুকের এই কম্বো মন্দ হবে না।
সাদার মধ্যে নীল বা ছাই রঙের প্রিন্টেড কোনও হাফ হাতা শার্টের সঙ্গে নীল প্যান্ট বা জিন্স পরতে পারেন।
এই লুকের সঙ্গে চোখে থাকুক সরু রিমের চশমা। রোদ থাকলে পরতে পারেন রোদচশমাও।
একদম স্নিগ্ধ লুক চান পুজোয়? তাহলে সাদা ছাড়া আর রং সঙ্গী হতে পারে? রণজয়ের মতো এমন একটি লুকে সেজে অষ্টমীর দিন বন্ধুদের সঙ্গে বেরোতেই পারেন।
সাদা শার্টের সঙ্গে অভিনেতার মতো নীল প্যান্ট পরতে পারেন। নইলে বেছে নিতে পারেন কোনও জিন্স।
আজকালকার ভাষায় একটু ‘ফাঙ্কি’ লুক চান? তবে ফ্লোরাল বা জিওমেট্রিক প্রিন্টের কোনও শার্ট বেছে নিতে পারেন নবমীর আড্ডার জন্য।
সঙ্গে পায়ে থাকুক হালকা রঙের স্নিকার। হাত ঘড়ি, চশমা বা রোদচশমার সঙ্গে সাজ সম্পূর্ণ করুন।
তবে আর কী! এ বার পুজো সাবেকি সাজে না সেজেও সকলের নজর আপনার দিকে কাড়তে পারেন সেমি ফরম্যাল লুক দিয়েও। মাথায় রাখুন এই সহজ টিপ্স। (সাজশিল্পী: সুব্রত রায়, পোশাক: মার্ক্স অ্যান্ড স্পেনসার, রূপটান শিল্পী: সুমন গঙ্গোপাধ্যায়, চিত্রগ্রাহক: শুভদীপ বসাক, স্থান: মার্ক্স অ্যান্ড স্পেনসার) ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)