ভূতচতুর্দশীর দিন দুপুরে ঝাল ঝাল অন্য রকম কিছু খেতে ইচ্ছে করছে? তবে বরিশালের এই জনপ্রিয় রান্নাটি বানিয়ে ফেলতে পারেন। ঘরে খালি চিংড়ি থাকলেই হবে। আর বাকি টুকটাক যা লাগবে তা রান্নাঘরে থাকেই। আর সময়? মিনিট ১০, যথেষ্ট! চলুন তবে আর দেরি কেন?
চিংড়ি মাছের জলটোবা বানানোর জন্য কী কী লাগবে সেটা আগে জেনে নেওয়া যাক। এই পদ বানাতে লাগবে চিংড়ি মাছ, হলুদ গুঁড়ো, নুন, কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ কুচি, ধনে পাতা। ব্যস। না, আরও একটা জিনিস লাগবে, কী বলুন তো? রান্নার নামেই আছে। হ্যাঁ, জল।
এই পদ বানানোর জন্য সবার আগে চিংড়ি মাছের খোসা ছাড়িয়ে, পিঠের সরু ময়লা পরিষ্কার করে, মাথা বাদ দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন।
এবার এই চিংড়ি মাছগুলির সঙ্গে ৫-৬ টা কাঁচা লঙ্কা বেঁটে নিন। মিক্সিতে বেটে নিতে পারেন। তবে শিলনোড়ায় বাটলে বেশি ভাল।
এবার এই বাটার সঙ্গে হলুদ গুঁড়ো এবং নুন মাখিয়ে রাখুন।
এবার ওভেনে কড়াই বসান। জল দিন। তাতে দিয়ে দিন এক চিমটে নুন এবং এক চামচ হলুদ গুঁড়ো।
এই জলে এবার বড়া আকারে ছোট ছোট করে চিংড়ি মাছের বাটাকে দিতে থাকুন।
ওটা যতক্ষণ সেদ্ধ হচ্ছে ততক্ষণ আরেকটা ওভেনে কড়াই বসিয়ে তাতে জল দিন। দিয়ে দিন পেঁয়াজ কুচি। দিন লঙ্কা কুচিও।
হালকা নেড়ে ঢেলে দিন সেদ্ধ চিংড়ি বড়াগুলি। দিয়ে দিন সেই জলটাও। এবার ভাল করে ঝোল ফুটিয়ে নিন।
ঝোল ভাল করে ফুটে গেলে তাতে উপর দিয়ে দিন ধনে পাতা কুচি।
কিছুক্ষণ স্ট্যান্ডিং টাইমে রেখে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন চিংড়ি মাছের জলটোবা। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।