অনেকের কাছে স্বাদহীন হলেও পুষ্টিকর খাদ্যের তালিকায় মাখানার জুড়ি মেলা ভার। গত কয়েক বছরে বাঙালির হেঁশেলেও বেশ পসার জমিয়ে ফেলেছে সে। আর হবে না-ই বা কেন? প্রোটিন, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান রয়েছে এতে।
জানেন কি দেবী লক্ষ্মীরও কিন্তু বেশ প্রিয় খাদ্য এটি? তা হলে আর ভাবনা কীসের! রাত পোহালেই লক্ষ্মীপুজো, দেবীর ভোগে অবশ্যই রাখুন মাখানা। তবে একটু অন্য ভাবে।
সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর মাখানার পায়েস বানালে কেমন হয়? প্রণালী অত্যন্ত সহজ।
প্রথমে গ্যাসের মধ্যে একটি কড়াই বসিয়ে এক টেবিল চামচ ঘি দিয়ে দিন। বাড়ির তৈরি ঘি হলে আরও ভাল।
ঘি একটু গরম হয়ে আসলেই তার মধ্যে দিয়ে দিন ১৫০ গ্রাম মাখানা। এর পর খানিক ভেজে নিন। তবে খুব বেশি ভাজলে হবে না। মিনিট দু’য়েক অল্প আঁচে নাড়াচাড়া করলেই হবে। এ ক্ষেত্রে ঘিয়ের পরিবর্তে সাদা তেলও ব্যবহার করা যায়। তবে ঘি, স্বাদে অন্য মাত্রা যোগ করে।
ভাজা হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিন এবং মাখানাগুলিকে অন্য একটি পাত্রে তুলে রাখুন।
মাখানাকে সরিয়ে রেখে সেই কড়াইতেই ঢেলে দিন ৫০০ মিলিগ্রাম দুধ। এর পর তা একটু ঘন করে জ্বাল দেওয়ার পর সামান্য কিছুটা দুধ অন্য পাত্রে তুলে রাখুন। উষ্ণ গরম এই দুধে যোগ করুন এক চিমটি কেশর।
কড়াইয়ে থাকা দুধটি গরম হয়ে এলে তাতে স্বাদমতো চিনি মিশিয়ে নিন। তবে খেয়াল রাখবেন খুব বেশি মিষ্টি যেন না হয়ে যায়। দুধ ঘন হয়ে আসলেই তাতে ছড়িয়ে দিন ওই ভেজে রাখা মাখানাগুলি।
খুব বেশি ফোটানোর প্রয়োজন নেই। মাখানা ও দুধের মধ্যে কেশর মেশানো দুধটি ঢেলে অল্প থেকে মাঝারি আঁচে তিন থেকে চার মিনিট ফোটালেই মাখানার পায়েস তৈরি।
এই পায়েস কিন্তু ঠান্ডা অবস্থাতে খেতেই ভাল লাগে। এর জন্য কড়াই থেকে নামিয়ে কিছু সময়ের জন্য ফ্রিজে রেখে দেওয়াই শ্রেয়। খানিক ক্ষণ পর ঠান্ডা হয়ে আসলেই তা নিবেদন করুন দেবীকে। ( ‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।