মিষ্টির সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক যতটা মধুর, ডায়াবেটিকদের সঙ্গে ঠিক ততটাই তেতো। তাই বলে কি পুজোর মরশুমে তাঁরা মনঃকষ্টে ভুগবেন?
শরীরে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ভয়ে মিষ্টিজাতীয় খাবার থেকে শতহস্ত দূরে থাকতে হয় ডায়াবেটিক রোগীদের। কিন্তু চিনির পরিবর্তে যদি অন্য কিছু ব্যবহার করে বানানো যায় ‘সুগার ফ্রি’ কালাকাঁদ, তা হলে কেমন হয়? কিন্তু এ-ও কি সম্ভব?
আজ্ঞে! এই কালাকাঁদ তৈরিতে চিনির পরিবর্তে ব্যবহৃত হবে স্টিভিয়া, যা স্বাদের নিরিখে কোনও অংশেই কম যায় না। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যের জন্যও এই জিনিসটি চিনির মতো ক্ষতিকারক নয়।
কী ভাবে বানাবেন? জেনে নিন প্রণালী।
প্রথমে একটি পাত্রে অনেকটা পরিমাণ কাঠবাদাম ভাল করে গুঁড়িয়ে নিতে হবে। এ বার অল্প আঁচে কড়াইতে দুই চামচ ঘি ঢালুন। তাতে দিন ৩০০ মিলিলিটার দুধ। ঢালার আগে দুধ ফুটিয়ে নেওয়াই শ্রেয়। এর পরে ঘিয়ের সঙ্গে ভাল করে দুধ মিশিয়ে তাতে যোগ করুন পিষে রাখা বাদাম। এ বার ফের ভাল করে নাড়তে হবে।
পরিমাণ মতো জল ঝরিয়ে রাখা ছানা দিয়ে দিন এ বার। পনিরও ব্যবহার করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে ছানা ব্যবহার করলে স্বাদেও তার প্রভাব থাকবে। কড়াইতে এই মিশ্রণ যত ফুটতে থাকবে, ততই গাঢ় হবে।
এ বার মিশ্রণে যোগ করুন আধ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো। এর পরে আসল উপকরণটি দেওয়ার পালা। চিনির বদলে ঢালুন চার থেকে পাঁচ চামচ স্টিভিয়া পাউডার। মিশ্রণ গাঢ় না হওয়া পর্যন্ত ভাল করে নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটি গাঢ় হয়ে এলে তাতে দিয়ে দিন এক চা চামচ ঘি। আবার মিশিয়ে নিন সবটা।
জল অনেকটাই শুকিয়ে গেলে মণ্ডটির সামান্য কিছুটা অংশ হাতে নিয়ে দেখুন সেটিকে হাতের চাপে পছন্দমতো আকৃতি দেওয়া যাচ্ছে কি না। এ বার কাজ অনেক সহজ।
একটি স্টিলের ট্রে-তে ভাল করে ঘি মাখিয়ে কালাকাঁদের মণ্ডটিকে ঢেলে দিন তার উপরে। হাতের সাহায্যে চাপ দিয়ে একটি নির্দিষ্ট আকৃতিতে এনে ঠান্ডা হতে দিন কয়েক ঘণ্টা।
শক্ত হয়ে এলে এ বার কালাকাঁদের আকারে চৌকো করে কেটে নিন। উপর থেকে ছড়িয়ে দিন কাজু, পেস্তার কুচি। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ। )