১। আয়েশ করে পঞ্চব্যঞ্জনের স্বাদে ডুব দেওয়ার পরে শেষ পাতে গরম গরম রসগোল্লা! নিমেষের বাঙালির মুখের হাসি আরও চওড়া। উৎসবের উদ্যাপন হোক বা সৌহার্দের অঙ্গ, রসগোল্লায় মিষ্টিমুখ হলে সবই শুভ।
২। সামনেই তো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। পাড়ায় পাড়ায় মিষ্টির দোকানে লম্বা লাইনের দিন আগতপ্রায়। সেই সব ঝক্কি পোহানোর দরকার নেই আর। চটজলদি বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন তুলতুলে গরম রসগোল্লা।
৩। উপকরণ- ১ লিটার দুধ, ভিনিগার, জল, চিনি, এলাচ ও ময়দা।
৪। বানানোর পদ্ধতিও বেশ সহজ। প্রথমে একটি পাত্রে এক লিটার দুধ নিয়ে গ্যাসে বসান। যত ক্ষণ এটি ফুটছে, তত ক্ষণ অন্য কাজে হাত বাড়ানো যাক।
৫। একটি ছোট পাত্রে তিন টেবিল চামচ ভিনিগারের সঙ্গে মেশান তিন টেবিল চামচ জল। ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৬। দুধ ফুটিয়ে নিয়ে নামিয়ে নেওয়ার পরে ভিনিগার ও জলের মিশ্রণটি ধীরে ধীরে ঢালতে থাকুন তাতে। এ বার আলতো হাতে ছানা কাটিয়ে নিন।
৭। একটি সুতির কাপড়ের মধ্যে ছানা ঢেলে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। কিছুটা ঠান্ডা জল ঢেলে ছানা ধুয়ে নিন। এতে ভিনিগারের গন্ধ কিছুটা হলেও দূর হবে।
৮। ছাঁকনির মধ্যে কাপড়ে মোড়া ছানার মণ্ডটি রেখে তার উপরে ভারী কোনও কিছু বসিয়ে রাখুন। কিছু ক্ষণেই সব জল ঝরে যাবে সহজে।
৯। এ বার রস বানানোর পালা। একটি পাত্রে দু’কাপ চিনি এবং চার কাপ জল মিশিয়ে রস বানিয়ে নিন। এতে ছড়িয়ে দিন তিনটি ছোট এলাচ। এ বার একটি প্লেটের মধ্যে ছানার মণ্ডটিকে নিয়ে পাঁচ মিনিট মতো ভাল করে মেখে নিতে হবে। এর পর তাতে আধ চা চামচ ময়দা যোগ করে আবার দুই থেকে চার মিনিট ভাল করে মেখে নিন।
১০। এর পরে মণ্ডটির মধ্যে থেকে একটু একটু করে মাখা নিয়ে সমান মাপের রসগোল্লার আকার দিতে হবে। সুন্দর করে পাকিয়ে নিন যাতে তার গায়ে কোনও ফাটল না থাকে।
১১। এ বার চিনির রস ফুটে গেলেই সবক’টি রসগোল্লা তার মধ্যে দিয়ে ২০-২৫ মিনিট মতো ফুটিয়ে নিন। গরম গরম রসগোল্লা তৈরি! ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ। )