লাবুবু ডল এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং! ছোট, লোমশ এই পুতুলটি এখন সকলের ব্যাগে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু, হঠাৎ করেই এটি বিতর্ক ও আলোচনার কেন্দ্রে!
প্রসঙ্গত, লাবুবু হল - হংকংয়ের শিল্পী কাসিং লুং-এর তৈরি একটি চরিত্র। এটি 'দ্য মনস্টার্স' সিরিজের অংশ। এর বৈশিষ্ট্য হল, লম্বা কান, বড় চোখ, আর সূক্ষ্ম ধারালো দাঁতওয়ালা হাসি।
কে-পপ তারকা লিসা (ব্ল্যাকপিঙ্ক) এই পুতুলের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তার পরই বিশ্ব জুড়ে এর জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ে। এটি 'ব্লাইন্ড বক্স' কৌশলে বিক্রি হয়, যা ক্রেতাদের কৌতূহল বাড়ায়।
এ দিকে, সামাজিক মাধ্যমে লাবুবুকে 'অভিশপ্ত' বলে প্রচার করা হচ্ছে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মেসোপটেমীয় দৈত্য 'পাজুজু'-র সঙ্গে তুলনা করেন। অনেকে দাবি করেন, পুতুলটি বাড়িতে আনার পর নানা খারাপ ঘটনা ঘটছে!
যদিও, অভিশাপের এই দাবির কোনও বাস্তবতা বা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। লাবুবুর স্রষ্টা এটিকে লোককথা ও কল্পনার থেকে সৃষ্টি বলে দাবি করেছেন। মনোবিজ্ঞানীরা এটিকে "সামাজিক মাধ্যম প্রভাবিত গণ-উন্মাদনা" বলছেন।
লাবুবুর পক্ষে মত হল - এটি একটি 'আর্ট টয়' বা সংগ্রহ করার মতো জিনিস। ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হিসাবেও এটি জনপ্রিয়। আর, লাবুবুর বিপক্ষে মত হল - অনেকে অতিরিক্ত দাম এবং খারাপ মানের নকল পুতুল নিয়ে অভিযোগ করেছেন।
লাবুবু একটি সাধারণ খেলনা, কোনও পৌরাণিক বা অশুভ শক্তি নয়। এটি মূলত একটি 'ফ্যাশন কি-চেইন' বা সংগ্রহ করার মতো পুতুল। আসলে, পুতুলটির রহস্যময় ডিজাইনই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বাজারে প্রচুর পরিমাণে নকল লাবুবু পাওয়া যায়। কালীপুজোর মরসুমে আসল লাবুবু কিনতে হলে বিশ্বস্ত উৎস থেকে কিনুন। আসল প্যাকেটে সাধারণত কিউআর কোড থাকে। সেটি থেকে যাচাই করে নিন।
কালীপুজোয় যদি আপনি এই পুতুল কিনতে চান, তা হলে আপনার ভাবা দরকার যে - আপনি কি ট্রেন্ড ফলো করতে চান, নাকি কুসংস্কার বিশ্বাস করেন? বাস্তববাদীদের মতে, এটিকে শুধুই একটি পুতুল হিসাবে দেখা উচিত। তবে, অতিরিক্ত দাম দিয়ে এটি কেনা আপনার জন্য জরুরি কি না, সেটাও ভাবুন।
সব থেকে বড় কথা হল , উৎসবের সময় আনন্দে ও ইতিবাচক থাকুন। লাবুবু একটি পুতুল মাত্র। আপনার ভাগ্য বা নিরাপত্তা এর উপর নির্ভর করে না। সর্বোপরি, উৎসবের মরশুমে যে কোনও কেনাকাটা করার ক্ষেত্রেই সচেতন থাকুন। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)