উৎসবের মরসুম বলে কথা! সাজগোছ, মেকআপ লেগেই ছিল। সব কিছুর মধ্যে ত্বকের নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
উৎসবের মরসুম শেষ, এ বার ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা ফেরাতে ঘরোয়া টোটকা বেছে নিন।
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা আজকাল ঘরে ঘরে। এ দিকে শীতের হাওয়াও বইতে শুরু করেছে। এমন আবহাওয়াতে ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। আর এই রুক্ষতা দূর করে মুখে আবার প্রাণের ছোঁয়া আনতে পারে দুধের সর বা মালাই।
দুধের ক্রিম বা মালাই আপনার ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী, বিশেষত যাঁদের ত্বক শুষ্ক।
মেকআপের ভারে বা সারা দিনের ধকলে ত্বক যখন ক্লান্ত, তখন এই মালাই দিয়েই বাড়িতে তৈরি করে নেওয়া যায় বেশ কিছু দারুণ ফেসপ্যাক। যা আপনার মুখকে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা দেবে, ত্বকের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনবে।
বেসন এবং মালাইয়ের জাদু: ট্যানিং বা হালকা দাগ-ছোপের জন্য এটি দারুণ কার্যকরী। এক চামচ তাজা দুধের ক্রিম, এক চামচ বেসন এবং সামান্য মধু ভাল করে মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট বানান।
এই মিশ্রণটি মুখ ও গলায় সমান ভাবে লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে আলতো হাতে ঘষে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক শুষ্ক ত্বকের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
কেশর ও চন্দনের লাবণ্য: যদি ত্বক ভীষণ নিস্তেজ আর শুষ্ক মনে হয়, তবে ভাইফোঁটার আগে এই প্যাকটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। সামান্য মালাইয়ের মধ্যে ৪-৫টি কেশর ১০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন।
কেশরের রঙ ও গুণাগুণ মালাইয়ের সঙ্গে মিশে গেলে তার মধ্যে মেশান সামান্য চন্দন গুঁড়ো। সব এক সঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিলেই ত্বক পাবে এক প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আর গোলাপি আভা।
১৫-২০ মিনিট মুখে রেখে আলতো করে মালিশ করে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক ত্বককে উজ্জ্বল করে, দাগ কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বককে নরম করে তোলে।
অ্যালোভেরা ও মালাইয়ের আর্দ্রতা: ত্বককে আর্দ্রতা জুগিয়ে কোমল করে তুলতে অ্যালোভেরা আর মালাইয়ের তুলনা নেই। দুই চামচ দুধের সরের সাথে এক চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন।
ত্বক খুব শুষ্ক হলে এক চামচ অলিভ অয়েল বা নারকেল তেলও যোগ করা যেতে পারে। ১৫ মিনিট মুখে রেখে ধুয়ে ফেললেই ত্বক ফিরে পাবে তার হারানো উজ্জ্বলতা।
উৎসব মানেই মন ভাল করা ফুরফুরে অনুভূতি, আর এই রূপচর্চা সেই ভাল থাকারই আরেক নাম। কড়া মেকআপ নয়, প্রাকৃতিক উপাদানের ভরসায় থাকুন। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)