বাঙালি হোক বা অবাঙালি, উৎসবের সংজ্ঞাটা কিছুটা হলেও দু’য়ের ক্ষেত্রেই এক। রাত জেগে ঠাকুর দেখা, দেদার মশলাদার খাবার দিয়ে পেটপুজো, আর সুন্দর করে নিজেকে সাজিয়ে তোলা।
তবে এর জন্য কম ঝক্কি পোহাতে হয় না ত্বককে। এক দিকে দীর্ঘ ক্ষণ মেকআপের আস্তরণ, অন্য দিকে তেল-মশলাদায়ক খাবারের অত্যাচার, সব মিলিয়ে ত্বকের সর্বনাশ অনিবার্য।
এর ফলস্বরূপ সুন্দর, মসৃণ ত্বক ক্রমে হারিয়ে ফেলে তার নিজস্ব চমক। দোসর হয় ব্রণ, কালো দাগের মতো সমস্যা।
কিন্তু এর প্রতিকার কী? কেমন ভাবেই বা মিলবে সমস্যার সমাধান।
ত্বকের গ্লো ধরে রাখতে গেলে যে দামি সামগ্রী দিয়েই ঘর ভরাতে হবে, এর কিন্তু কোনও মানে নেই। এতে প্রতিকার মিললেও তা সাময়িক।
স্বাভাবিক ভাবে সারা বছর ত্বককে মসৃণ ও সতেজ রাখতে কিছু প্রয়োজনীয় অভ্যেসই যথেষ্ট।
প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেরই ত্বক তৈলাক্ত হয়ে পড়ে, এর জন্য প্রথমেই হালকা কোনও ক্লিনজ়ার দিয়ে মুখ ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ঘাম ও তেল অনেকটাই দূর হবে।
তবে কেবল পরিষ্কার করলেই হবে না। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে হাইড্রেশন দরকার। উপযুক্ত কোনও ময়েশ্চারাইজ়ার অথবা মিস্ট স্প্রে লাগানো প্রয়োজনীয়।
কোথাও বেরোনোর আগে ময়েশ্চারাইজ়ার তো আছেই, লাগবে সান স্ক্রিনের রক্ষা কবচও। বিশেষ করে দীপাবলির সময়ে যেখানে বাজির ধোঁয়া ও আলোর দাপট, সেখানে সান স্ক্রিন লাগবেই।
তবে মনে রাখবেন, কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভাল না। ত্বকের যত্নের জন্য ঘন ঘন স্ক্রাবিং অথবা ফেস প্যাকের ব্যবহার আরও হিতে বিপরীত হতে পারে।
এ ছাড়া নিয়মিত যথার্থ পরিমাণে জলপান, উপযুক্ত সবুজ সব্জি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এত পরিশ্রমের দরকারই পড়ে না। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)