প্রতীকী চিত্র
সাজগোজের অঙ্গ হিসেবে আলতার প্রচলন আজকের নয়। পুজো পার্বণ হোক অথবা নৃত্য শিল্পের অংশ। আলতা সবের সঙ্গেই জড়িত ওতপ্রোত ভাবে। পুজোর সময়ে বিশেষ করে বিজয়া দশমীতে বিবাহিত মহিলা অথবা এয়োস্ত্রীদের মধ্যে আলতা পরার চল রয়েছে। ঘন লাল রং পাত্রে গুলে তুলির টান দেওয়ার সময়ে সামান্য অসাবধানতায় ঘেঁটে যেতে পারে সবটাই। সামান্য কিছু টিপ্স মাথায় রাখলেই আলতার নকশা হবে ছবির মতো সুন্দর।
আলতা পরা হয়ে গেলে সামান্য কিছুটা তেল নিয়ে যে জায়গায় আলতা পরেছেন, সেখানে মাখিয়ে নিন। এতে আলতা ঘেঁটে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
আলতা পরার সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলবেন না। এতে রং গাঢ় হয় না। অন্য দিকে বাস্তুশাস্ত্রও বলে, আলতা পরার সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলা নাকি দাম্পত্য জীবনে অমঙ্গলের ছায়া ডেকে আনে। স্বামীর মঙ্গলের স্বার্থেই এই কাজটি ভুলেও নয়।
বাজারে এখন আলতার মতো গাঢ় লাল রঙের মেহেন্দিও পাওয়া যায়। যেগুলি শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিলেই আলতার মতো ঘন লাল রং পাওয়া যায়।
অনেক সময়ে আলতা পড়ার সময় একটা নির্দিষ্ট রেখা বরাবর তুলির টান হয় না। কিছুটা অংশ যদি বেরিয়েও যায় বাইরে, তা হলে সামান্য উষ্ণ জলের মধ্যে একটু কাপড় ভিজিয়ে আলত হাতে সেই বাড়তি আলতাটি মুছে নিন। সহজেই উঠে যাবে। দাগ খুব বেশি চোখেও পড়বে না।
বলা হয়, আলতা পরতে পরতে মাঝপথে উঠে পড়তে নেই। তাতে যেমন অমঙ্গল তেমনই বাড়ির মেঝেও অপরিষ্কার হয়ে যায়। স্থির হয়ে আলতা পরুন, সেটিকে শুকিয়ে নিন খানিক ক্ষণ। তার পর উঠুন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।