প্রতীকী চিত্র
পুজোয় জমিয়ে সাজতে কার না মন চায়! সঙ্গী যদি হয় ঝলমলে, তবে তো কথাই নেই! তার জন্য পার্লার-স্যালোঁতে ছুটতে হবে না। ত্বক পরিচর্যায় বাজার চলতি নামী-দামি ব্র্যান্ডের কোনও প্রসাধনীও লাগবে না। এ বার পুজোয় বাড়িতে ঘরোয়া উপকরণে তৈরি ফেসওয়াশ ব্যবহার করেই বাড়িয়ে পেলুন মুখের জেল্লা! এতে ত্বক ডিট্যান করা যায় খুব সহজেই। কোনও রাসায়নিক পদার্থ না থাকায় ত্বকও সুরক্ষিত থাকে। কী ভাবে তৈরি করবেন এমন ফেসওয়াশ? জেনে নিন সবিস্তার।
উপকরণ
বেসন: ২ টেবিল চামচ
টোম্যাটোর রস: ১ টেবিল চামচ
দই: ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালী
একটি ছোট বাটিতে বেসন, টোম্যাটোর রস, দই এবং হলুদ গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি কিছুটা ঘন হবে, যা ফেসওয়াশের মতো কাজ করবে।
ব্যবহারের নিয়ম
১. ব্যবহারের পদ্ধতি: প্রথমে জল দিয়ে মুখটা একটু ভিজিয়ে নিন। এর পরে তৈরি করে রাখা ফেসওয়াশ মিশ্রণটি মুখে এবং গলায় লাগান।
২. ম্যাসাজ: ধীরে ধীরে বৃত্তাকার গতিতে ২-৩ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এতে মৃত কোষ দূর হয়ে ত্বকের গভীরের অংশও পরিষ্কার হবে।
৩. পরিষ্কার করা: এ বার সাধারণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এর পরে নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ হালকা করে মুছে নিন।
৪. কত বার ব্যবহার করবেন: এই ফেসওয়াশটি রোজ সকালে বা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করতে পারেন। যদি আপনার ত্বক খুব শুষ্ক হয়, তা হলে সপ্তাহে ৩-৪ বার ব্যবহার করাই ভাল।
উপকারিতা
বেসন: ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি ডিট্যান করার ক্ষেত্রে খুব উপকারী।
টোম্যাটোর রস: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ট্যান দূর করতেও খুব কার্যকরী।
দই: ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ত্বককে নরম করে। এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মরা কোষ সরিয়ে দেয়।
হলুদ: ত্বকের দাগ দূর করে এবং প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে।
এই ফেসওয়াশ নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনি ধীরে ধীরে ত্বকের জেল্লা ফিরে পাবেন এবং ট্যানও কমে যাবে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।