প্রতীকী চিত্র।
হ্যালোউইন উদ্যাপন শুধু আর পাশ্চাত্যের রীতি নেই। বিদেশের এই বিষয়টি এখন বড়দিনের মতোই ভারতীয়দের কাছে ‘উৎসব’! রং মেখে, অভিনব রূপটানে ভূত সাজতে ব্যস্ত অধিকাংশই। সাজসজ্জা ফুটিয়ে তুলতে সেই সঙ্গে চাই মানানসই একটি কেশসজ্জাও। সেই মতো স্টাইলিং আর ভুরিভুরি রাসায়নিক উপাদানের বন্যা। এই সবের মাঝে দফা-রফা অবস্থা ত্বক ও চুল- দু’য়েরই।
ত্বক, চুলের এই ক্ষতি সামলে কী ভাবে ফেরাবেন জেল্লা? কী ভাবেই বা তুলবেন সেই মেকআপ? রইল টিপ্স।
কোনও নামীদামি প্রসাধনী নয়, ঘরোয়া উপাদানই এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত। যেমন দুধ ত্বকের জন্য ময়শ্চারাইজ়ারের কাজ করে। মেকআপ তুলতেও দুধ খুবই কার্যকর। কিছুটা তুলো দুধে ভিজিয়ে নিয়ে, তা দিয়ে মুখ মুছে নিন। এতে যেমন তাড়াতাড়ি মেকআপ উঠবে, তেমনই ফিরবে ত্বকের আর্দ্রতাও।
সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে মেকআপ তুলতে গেলে নারকেল তেলের মতো উপযুক্ত আর কিছুই নেই। তুলো অথবা কাপড়ে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল নিয়ে তা দিয়ে চোখ-মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। রং, কাজল সবই উঠে যাবে মুহূর্তে।
জানেন কি, ত্বক পরিষ্কার করতে বেকিং পাউডারেরও জুড়ি মেলা ভার? তাতে কিছুটা মেশাতে হবে মধু। এই দুই উপাদানই ত্বক পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে খুবই কাজের। এক চামচ মধু আর বেকিং পাউডার মিশিয়ে মুখে মাখুন। কিছু ক্ষণ পরে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিলেই সব মেকআপ উঠে যাবে। এর পরে গরম জলের ভাপ দেওয়া ভাল। তাতে আর্দ্র হবে ত্বক।
শুধু ত্বক কেন, ঘন ঘন হিট ট্রিটমেন্ট ও হেয়ার স্প্রে ব্যবহারের ফলে চুলেরও হাল হয় ত্বকের মতোই। হ্যালোউইনের উদ্যাপন মিটে গেলে পরদিন কয়েকটি সহজ উপায়ে চুলের হারানো স্বাস্থ্য ও উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
হ্যালোউইন শেষে তেমন কোনও উৎসব বা অনুষ্ঠান যদি না থাকে, তা হলে কিছু দিন চুলকে একটু রেহাই দিন। সব ধরনের হিট-স্টাইলিং যন্ত্র ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। নতুন করে তাপ প্রয়োগ চুলের বড়সড় ক্ষতি করে দিতে পারে।
শ্যাম্পু করার পরে ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক খুবই জরুরি। চুলের রুক্ষতা কাটাতে একে করুন নিত্যসঙ্গী। সপ্তাহে অন্তত এক বার ভাল মানের হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। কেরাটিন, আর্গন তেল, শিয়া বাটার বা নারকেল তেল সমৃদ্ধ মাস্ক বেছে নিন।
হ্যালোউইনের রাতে চুলের সজ্জা সামলাতে বেশ কিছুটা পরিমাণ রাসায়নিক স্প্রে-এরও প্রয়োজন হয়। এতে চুলের ক্ষতি অনিবার্য। পরদিন চাই বেশ কিছু ক্ষণের জন্য তেলের ম্যাসাজ। নারকেল তেল, অলিভ অথবা আমন্ড তেল কিছুটা গরম করে নিয়ে হালকা হাতে ত্বক ও চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। চাইলে ওই অবস্থায় সারা দিন অথবা সারা রাতও রেখে দিতে পারেন। এটি চুলের গভীরে আর্দ্রতা জোগাবে।
এ ছাড়া একটি ডিমের সঙ্গে দুই চামচ দই ও এক চামচ মধু মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে নিন। তাতেও মিলবে দারুণ সমাধান।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।